প্রকাশিত: ০৪ অগাস্ট, ২০২২ ১১:৫০:১৩
রায়ান বার্লের হাসি যেন থামছিলই না! বিয়ারের বোতলে চুমুক দিতে দিতে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন, সেলফির আবদার মেটাচ্ছেন। হারারে স্পোর্টস ক্লাবের ‘দ্য সেঞ্চুরিয়ন পাব অ্যান্ড গ্রিল’–এ বসে পরশু সন্ধ্যাটা ভরপুর উপভোগ করছিলেন জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটার।
ঘণ্টাখানেক আগেই বাংলাদেশকে বিধ্বংসী এক ইনিংসে উড়িয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়ের নায়ক বনে গেছেন বার্ল। তাঁর নাম ধরে জিম্বাবুয়ের সমর্থকেরা ‘চিয়ার্স’ বলে চিৎকার করবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক!
বার্লের বর্ণালি সন্ধ্যায় ক্রিকেটের আড্ডাও চলছিল তুমুল। ২৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে ঘুরেফিরে নাসুম আহমেদের ১ ওভারে ৩৪ রানের গল্পটাই বলতে হচ্ছিল জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে। বার্লও উত্তর দিচ্ছিলেন প্রাণ খুলে, ‘আমার জন্য আদর্শ ম্যাচআপ ছিল। বাঁহাতি স্পিনার দেখেই আমি ঠিক করে ফেলি যে এই ওভারে ২০-এর বেশি রান নেব। প্রথম বলটা ছয় মারার পর আত্মবিশ্বাসও পেয়ে যাই। বাকিটা ইতিহাস।’
ম্যাচআপ’ মিলে গেলে খুনে মেজাজের ব্যাটিংয়ের স্বাধীনতা নাকি ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজনারের কাছ থেকেই পেয়েছেন বার্ল। আউট হলে আউট, নিজের পছন্দের বোলারের ১ ওভারে যতটা রান করা যায়, সে চেষ্টা থাকতে হবে। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে আমি ৩১ বলে ৩২ রান করেছি। কোনো ঝুঁকি নিইনি। আমার দলও জেতেনি। আজও একই অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আগের দিন আমি যা করিনি, সেটা আজ (পরশু) করেছি। জুলুকে (ক্লুজনার) জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার কী করা উচিত যদি “ম্যাচআপ” মিলে যায়। সে বলেছে, “মার নয়তো মর।” আমিও তা–ই করেছি।’
ছক্কা মারার জন্য বাংলাদেশি বাঁহাতি স্পিনটা যে বার্লের বিশেষ পছন্দ, সেটির উদাহরণ আছে আরও। ২০১৯ সালের বাংলাদেশ সফরে সাকিব আল হাসানের ১ ওভারে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩০ রান নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি। পরশু টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে বার্ল অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন। সাকিব-নাসুমকে খোঁচা দিতেও ভুললেন না, ‘আমরা দলের সবাই এটা নিয়ে মজা করছিলাম। এখন সাকিব কই? সে এই সফরে এল না যে? আজ নাসুমের ওভারে ৩৪ নিয়েছি। কে জানে, সে–ও হয়তো সাকিবের মতো পরেরবার জিম্বাবুয়ে সফরে আসবে না (হাসি)।’
টানা ছক্কা মারার কৌশলটাও জানালেন বার্ল। ২০ ওভারের খেলায় তাঁর ব্যাটিং ভাবনাটাই নাকি শুরুই হয় ছক্কা থেকে। যেকোনো বলেই ছক্কা মারার লক্ষ্য থাকে তাঁর। ছক্কা না হলে ৪, তা–ও না হলে ২ অথবা ১। বার্ল বলছিলেন, ‘হিটিং মিটারটা হলো এমন, ৬-৪-২-১। ছক্কা থেকে শুরু সব। এরপর বলের মেধা বুঝে খেলা। এটা আগে মাথায় ঢোকাতে হবে। মেরে খেলার ক্ষেত্রে মাথাটাই আসল। মানসিকতা যদি বদলানো যায়, তাহলে চার-ছক্কা আসবেই। দেখুন না, আমরা মানসিকতা বদলে কী করে ফেলেছি! আমরা সর্বশেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতে জিতেছি। দলের মধ্যে এখন আত্মবিশ্বাস ভরপুর। এত দ্রুত পরিবর্তন আনা মানসিকতা পাল্টানো ছাড়া সম্ভব নয়।’
জমজমাট আড্ডায় মশগুল বার্লের সামনে কাল হারারেতেই শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের প্রসঙ্গও তোলা হলো। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা ফেরায় বাংলাদেশের শক্তি বাড়বে। টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়টা নিশ্চয়ই সহজ হবে না জিম্বাবুয়ের জন্য।
না, বার্ল সেদিকে গেলেনই না। বিয়ারের বোতলে বড় একটা চুমুক দিয়ে বললেন, ‘এখন ওয়ানডে নিয়ে ভাবছি না। এখন আমার উপভোগের সময়...।’
প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব
বৃহত্তর সিলেট জেলা অনলাইন প্রেক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
নিখোঁজের ২ দিনপর, স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
ট্রাফিক পুলিশের প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন আইজিপি
আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে : কাদের
চাঁদপুরে লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীদের নদীতে ঝাঁপ
আমাদের মান-ইজ্জতে হামলা হয়েছে, সাবধান হয়ে যাও
সরকার হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে বদ্ধপরিকর : ধর্মমন্ত্রী