যুক্তরাষ্ট্রেরে নিষেধাজ্ঞা পুতিনের বান্ধবীর উপরও

প্রকাশিত: ০৩ অগাস্ট, ২০২২ ০৪:৪০:২১ || পরিবর্তিত: ০৩ অগাস্ট, ২০২২ ০৪:৪০:২১

যুক্তরাষ্ট্রেরে নিষেধাজ্ঞা পুতিনের বান্ধবীর উপরও

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বান্ধবী বা প্রেমিকা হিসেবে অ্যালিনা কাবায়েভার নাম বহু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। তবে সে বিষয়ে কোনও মহলই তেমন নিশ্চিত নয় বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু আপাতত পুতিনের সেই তথাকথিত বান্ধবী বা প্রেমিকার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল যুক্তরাষ্ট্র। শুধু অ্যালিনার উপরেই নয়, মঙ্গলবার অ্যালিনা-সহ পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের আন্দ্রেই গ্রিগোরিয়েভিচ গুরিয়েভ-সহ রাশিয়ার বেশ কয়েকজন নাগরিকের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

পুতিনের বন্ধুত্বই অবশ্য এই অ্যালিনা কাবায়েভার একমাত্র পরিচয় নয়। অ্যালিনা কাবায়েভা অলিম্পিকের প্রাক্তন জিমন্যাস্ট। যদিও ঘটনাচক্রে তাঁর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। 

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুতিন-বন্ধু আন্দ্রে গ্রিগোরিভিচ গুরিয়েভ-এর উপরও। এই আন্দ্রে গ্রিগোরিভিচ গুরিয়েভ লন্ডনে উইটানহার্স্ট এস্টেটের মালিক। বাকিংহাম প্যালেসের পর এটি লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাড়ি বলে পরিচিত।
গুরিয়েভ ফস অ্যাগ্রো কোম্পানির প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান। ফস অ্যাগ্রো বিশ্বের ফার্টিলাইজার মার্কেটের বড় মাপের সরবরাহকারী কোম্পানি। গুরিয়েভের উপর এই নিষেধাজ্ঞার জেরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা-সহ কোনো মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই তাঁর সঙ্গে কোনও লেনদেন করতে পারবে না। মার্কিন বিচারব্যবস্থার আওতায় তাঁর সম্পত্তি 'সিজ' করা হতে পারে। এ ছাড়া গুরিয়েভের 'আলফা নেরো' নামের এক প্রমোদতরণী রয়েছে। অনুমান, মার্কিনিদের হাতে বাজেয়াপ্ত হতে পারে সেটিও। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষে প্রায় ১৫০০০ রুশ সৈন্যের মৃত্যু ঘটেছে। মার্কিন গোয়েন্দাদল জানিয়েছে, আহত হয়েছেন এর চেয়েও অনেক বেশি সংখ্যক সেনা। যুদ্ধের ফলে উভয়পক্ষের সেনারই যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। কিয়েভের ক্ষয়ক্ষতির কথা বলতে গিয়ে সিআইএ-র ডিরেক্টর ইউলিয়াম বার্নস এই সব তথ্য জানিয়েছেন। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পৃথিবীর পক্ষে একটা সংকটবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বহুদিন ধরেই রাশিয়াকে বাকি বিশ্ব অনুরোধ করেছে, তারা যাতে ইউক্রেনের উপর হামলা কমায়। কিন্তু রাশিয়া এ বিষয়ে ক্রমশ জেদের ও একগুঁয়েমির পরিচয় দিয়েছে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের খবর। সারা পৃথিবী ভাগ হয়ে গিয়েছে এই যুদ্ধের সমীকরণে। পশ্চিমি বিশ্ব নানা ভাবে রাশিয়াকে বার্তা দিয়েছে, কিন্তু রাশিয়া কোনও কথাই শুনতে চায়নি। শুধু শুনতে চায়নিই নয়, তারা নানা ভাবে পশ্চিমি বিশ্বের দেশগুলির সঙ্গে বাদানুবাদে ও তর্কে-বিতর্কে মগ্ন থেকেছে। তৈরি হয়েছে মতবিরোধিতার প্রেক্ষিতও।

কিন্তু বিশ্বের মোটামুটি একটা বড় অংশ একমত যে, এই যুদ্ধ চলার ফলে সার্বিক ভাবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি ঘটেছে ইউক্রেনেরই। ইউক্রেনের জনজীবন দারুণ ভাবে ব্য়াহত হয়েছে। সেখানে মহিলা ও শিশুরা খুবই সংকটে পড়েছে। সেখানকার অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।  


প্রজম্মনিউজ২৪/ফারহান আহমেদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ