শিক্ষকদের চাপে কোচিং করতে বাধ্য হচ্ছেন স্কুল শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৩ অগাস্ট, ২০২২ ১০:৪৬:৫১

শিক্ষকদের চাপে কোচিং করতে বাধ্য হচ্ছেন স্কুল শিক্ষার্থীরা

আসাদ আজিম চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ স্কুল শিক্ষর্থীদের প্রাইভেট ব্যাচে পড়তে বাধ্য করছেন সরকারী স্কুলের শিক্ষকরা। জানা যায় নাম্বার কম দেয়া, স্কুলে ঠিকমত ক্লাস না নেয়া, ফেল এর ভয় দেখানো ইত্যাদি নানা কায়দায় ছাত্র ছাত্রীদের নিজস্ব প্রাইভেট ব্যাচে টেনে আনছেন অনেক শিক্ষক।

সরেজমিনে জানা যায়,সরকারী স্কুল গুলোর গুটি কয়েক শিক্ষক ছাড়া অধিকাংশেরই রয়েছে প্রাইভেট ব্যাচ। স্কুলের ক্লাস গুলোতে মানসম্মত পাঠদান না করলেও প্রাইভেট ব্যাচে আসা শিক্ষার্থীদের অধিক আন্তরিকতা ও যত্নের সাথে পড়ান এসব শিক্ষক। একেক শিক্ষক একেক কায়দা কানুন করে শিক্ষার্থীদের টেনে আনেন নিজস্ব ব্যাচে। কেউ দেখান ফেল করিয়ে দেয়ার ভয়, কেউ দেখান ভালো নাম্বারের লোভ,কেউ বা কিছুই না বলে আকারে ইঙ্গিতে টেনে আনেন।  তবু যেসব শিক্ষার্থী পড়তে চায় না তাদের রেজাল্ট হতে থাকে বরাবরই খারাপ । আর যারা প্রাইভেট ব্যাচে পড়ুয়া তারা বেশ ভালো মার্কস পেয়ে থাকে। সাধারনত নবম দশম শ্রেনীর শিক্ষকদের এমন দৌরাত্ম্য দেখা গেলেও কম বেশি সব শ্রেনির স্কুল শিক্ষকরাই এতে জড়িত।

চকবাজারে অহরহ এমন অসংখ্য কোচিং সেন্টারের দেখা মিলবে।  সাধারত স্কুলের এসব শিক্ষকদের কোনো সাইনবোর্ড থাকে না ফলে বাইরে থেকে বুঝার উপায় নেই এখানে কি চলছে আদতে। একেকটি ব্যাচে ২০ জন থেকে শুরু করে ১০০ জন কিংবা তারও বেশি ছাত্র নিয়ে চলে এসব ব্যাচ। প্রতিজন ছাত্র থেকে নেয়া হয় মাসিক ১০০০-২০০০ টাকা অবধি।

সাধারন ছাত্ররাও এতে ভীষন অসন্তুষ্ট ও নাজেহাল।  
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র জানান  "আমরা কি করবো? আমাদের তো পড়াশুনা চালিয়েই যেতে হবে, রেজাল্ট তো আর খারাপ করা যায় না, তাই পড়তেই হচ্ছে স্যারদের ব্যাচে।  কিছু করার নাই" 

সাদিফ নামের একজনকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান," স্যার সেরকম যোগ্যতাসম্পন্ন হলে বলতেই পারেন, বলাটা তো দোষের না,  কিন্তু বাধ্য করা হলে তা কোনো ভাবেই সমীচীন নয় "। 

এ ব্যপারে চবি সাবেক উপাচার্য জনাব ইফতেখারুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রজন্ম নিউজকে জানান, "এটা একটা বড় সমস্যা, অনেক গুলো বিষয় এখানে প্রভাব রাখছে প্রথমত আমাদের শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কিত দুর্বলতার কথা বলতে হয়, দুর্নীতি ঘুষ কিংবা অনৈতিক উপায়ে কেউ যদি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পায় তাহলে সে তো এমন করবেই,
আবারও আরেকটি কারন হলো বেতন স্কেল, এখনো অনেক জায়গায় অনেক শিক্ষক সঠিকভাবে বেতন পাচ্ছেন না ফলে তারা বাধ্য হয়েই কোচিং বানিজ্যে আসছেন।

আবার হতে পারে,ছাত্রদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ক্লাস নিতে পারা গেলেও তা সবার বুঝে আসে না ফলে ছাত্ররা কোচিং মুখী হচ্ছেন দিন দিন "।

নগরীর চকবাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে এসব ব্যাচ উল্লেখ্য শিক্ষা সুচকে দক্ষিন এশিয়ায় সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।


প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ