আন্দোলন দমাতে নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছে সরকার

প্রকাশিত: ০২ অগাস্ট, ২০২২ ০৬:৪৬:১২

আন্দোলন দমাতে নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছে সরকার

ভোলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আন্দোলন দমাতে নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছে সরকার।

তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মুখোশ উম্মোচন হয়েছে। বিদ্যুতের দাবিতে এই বিক্ষোভ হয়েছে। এটা জনগণের দাবি। এটা সরকারের পরিবর্তনের কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি ছিল না। সেটাকেই তারা সহ্য করতে পারছে না। সেখানে তারা বিনা উসকানিতে গুলি করেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, ভোলায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।

সোমবার দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আবদুর রহিমের কেন্দ্র ঘোষিত গায়েবানা জানাজা শেষে এসব কথা বলেন। গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন মহানগর ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতী।

এসময় সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ জনদুর্ভোগের বিষয়ে একটা সমাবেশের ওপর পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। এটা একটা বড় ধরনের ঘটনা। এরসঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জনসাধারণকে এরকম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানাচ্ছি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নের সব অস্ত্র এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। হত্যা, গুম থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলায় দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মতো কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে আওয়ামী সরকার। নিজেদের ক্ষমতাকে কন্টকমুক্ত করার জন্য বিরোধী দলের অস্তিত্বকে দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে সব শক্তি নিয়োগ করেছে তারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিঘ্নে চলাচল করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা, আবারো বিনা ভোটে সরকার গঠন করা এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করার লক্ষেই ভোলায় সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। ভোলার হত্যার ঘটনা সরকারের ধারাবাহিক অমানবিক নিপীড়ন নির্যাতনেরই বর্ধিত প্রকাশ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, এস এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম (ডক), শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মাহবুবুল হক, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইনসহ আরো অনেকে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমআরএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ