প্রকাশিত: ৩১ জুলাই, ২০২২ ০১:০৮:০৩
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নিউইয়র্ক শহরকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস বিস্তারের ‘কেন্দ্র” বলে আখ্যা দিয়েছেন নগর কর্মকর্তারা। শনিবার জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়র এরিক অ্যাডামস ও স্বাস্থ্য কমিশনার অশ্বিন ভাসান যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, শহরের প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাইরাসটির বিস্তার রোধে শহরের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে এ আদেশ জারি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অ্যাডামস ও ভাসান বিবৃতিতে বলেছেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা আমাদের ফেডারেল অংশীদারদের সাথে ডোজগুলো (ভ্যাকসিন) নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব। এটি নিয়ে জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত; তবে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিলে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণ প্রতিরোধের গুরুত্বকে আরো প্রতিফলিত করবে।
সান ফ্রান্সিসকোর স্বাস্থ্য বিভাগ মেয়রের কার্যালয় সূত্রে জানিয়েছে, চাহিদা মেটাতে ৩৫ হাজার ডোজের অনুরোধ করা হয়েছে কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাত্র ১২ হাজার ডোজ পেয়েছেন তারা। এ সপ্তাহে আরও প্রায় চার হাজার ২২০ ডোজ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল গত দু’দিনে জরুরি রাষ্ট্রীয় দুর্যোগের ঘোষণা করেছেন; অন্যদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ মাঙ্কিপক্সকে "জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি" বলে অভিহিত করেছেন। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর তথ্য অনুসারে, নিউইয়র্কে শুক্রবার পর্যন্ত এক হাজার ৩৪৫ জন সংক্রমণের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া (৭৯৯টি)।
গত ২৩ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী এবং বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোর মেয়র ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছে। কয়েক দশক ধরে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কিছু অংশে এই বিরল রোগটি শনাক্ত হলেও মহাদেশের বাইরে গত মে মাস পর্যন্ত বড় ধরণের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু সে সময়ে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ অন্য মহাদেশগুলোতেও ডজন ডজন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।
বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাস থেকে আজ অবধি বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ২২ হাজারেরও বেশি লোক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। মাঙ্কিপক্স কি না এমন সন্দেহে আফ্রিকাতে প্রায় ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, নাইজেরিয়া ও কঙ্গোতে এই সন্দেহের তালিকা বেশি। শুক্রবারে আফ্রিকার বাইরে প্রথম ব্রাজিল, স্পেনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মাঙ্কিপক্সে দ্বিতীয় মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্পেন।
ভাইরাসটি ঘনিষ্ঠ ত্বক থেকে ত্বকের যোগাযোগের পাশাপাশি বিছানা, তোয়ালে এবং পোশাকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় প্রাথমিকভাবে পুরুষদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। পুরুষ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই সমকামি। বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, ভাইরাসটি যে কাউকে সংক্রমিত করতে পারে।
প্রাদুর্ভাবে চিহ্নিত মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের ধরণ খুব কমই মারাত্মক, এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধরণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে, ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত ও ফোসকা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন বা গর্ভবতীদের জন্য ভাইরাসটি বেশি উদ্বেগের কারণ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ
বশেমুরবিপ্রবি প্রকল্প পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত
পেট থেকে জীবন্ত মাছ বের করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন সেই ডাক্তার
যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ নিহতের ঘটনার বিচার চেয়েছে নতুনধারা
নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
ভুল চিকিৎসায় পা হারালো শিক্ষার্থী
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়লো
বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার
প্রধানমন্ত্রী মোদির বাড়ি ঘেরাও কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দিল্লি