বিদেশি ঋণে সমাধান খুঁজছে সরকার, কঠিন শর্ত আইএমএফ 

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই, ২০২২ ১১:২১:৩১

বিদেশি ঋণে সমাধান খুঁজছে সরকার, কঠিন শর্ত আইএমএফ 

আলোচনায় বিদেশি ঋণ। কিন্তু সেটা এখন কতটা জরুরি? পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম মনে করছেন, রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতি আর ডলার সংকটের এ সময়ে বিকল্প নেই সরকারের হাতে। ভালোই ছিল অর্থনীতি। করোনাকালেও বহু দেশ যখন টিকে থাকার লড়াইয়ে তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ঈর্ষণীয়। এমনকি রপ্তানি, প্রবাসী আয় আর বিদেশি মুদ্রার মজুতও রেকর্ড গড়ছিল নিয়মিত বিরতিতে। কিন্তু হঠাৎই যেন ছন্দপতন।

২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি ছুঁয়েছে ৫২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক। কিন্তু তার চেয়েও ২৩ বিলিয়ন বেশি চলে গেছে ১১ মাসের আমদানি বাবদ। ফলে বছরের হিসাব শেষ হওয়ার আগেই রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতি ঘাড়ে নিয়ে এগোচ্ছে অর্থনীতি। তার ওপর ডলারের আকাশছোঁয়া দাম আর জ্বালানি আমদানিতে অতিরিক্ত ব্যয় ওলট-পালট করে দিচ্ছে সামষ্টিক স্থিতিশীলতা। এমন অবস্থায় খানিকটা স্বস্তি পেতেই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দ্বারে বাংলাদেশ।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জানান, আমাদের ইমপ্রুভ অনেক বেড়ে গেছে, রপ্তানি বাড়তি হলে ইমপোর্ট বাড়বে। আমাদের অর্থনীতির যে সামর্থ্য তাতে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলোর ‌একেবারে দ্বিমত নেই। তাই আমি মনে করি যত দ্রুত ঋণ নেয়া যায় তত তাড়াতাড়ি ডলার সংকট কেটে যাবে।

এই মুহূর্তে ঋণের আলোচনায় সবার আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যাদের কাছ থেকে আগামী তিন বছরে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার সহজ ঋণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের কাছেও চাওয়া হয়েছে আরও পৌনে দুই বিলিয়ন। সমস্যা হচ্ছে, এই ঋণের বিপরীতে জ্বালানিতে ভর্তুকিতে কমানো, ডলারের দরে সীমা তুলে দেয়া, কর ব্যবস্থায় সংস্কারসহ বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিচ্ছে আইএমএফ। যা পূরণ করা জরুরি হলেও কতটা সম্ভব আছে সেই প্রশ্ন।

ওই সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণের সম্পর্ক বহু দিনের। কিন্তু বাড়তি আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে বর্তমান বাস্তবতা।


প্রজন্মনিউজ২৪/মনিরুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ