দ্রুত বিয়ের প্রবণতা বাড়ছে মুসলিম তরুনদের মাঝে

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই, ২০২২ ০৪:৪৮:৩৯ || পরিবর্তিত: ২৫ জুলাই, ২০২২ ০৪:৪৮:৩৯

দ্রুত বিয়ের প্রবণতা বাড়ছে মুসলিম তরুনদের মাঝে

বৈশ্বিক মহামারী করোনার পর পাল্টেছে অনেক কিছুই,পরিবর্তন এসেছে জনজীবনে। বিশ্বের মুসলিম সমাজও এক ধাক্কায় ইসলামের অনেক কাছে এসেছে বলে অনেক সমীক্ষায় দেখা গেছে। ইসলামের সেই শাশ্বত বিধান সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে নারী পুরুষের সম্পর্ককে। বদলে দিয়েছে আধুনিক চিন্তাধারা। 

একটি গবেষনায় দেখা যায়, করোনা পুর্ববর্তী সময়ে সারাবিশ্বে মুসলিম তরুনদের অধিকাংশেরই ছিল প্রেমের সম্পর্ক। করোনায় ফুরসত মিলেছিল বেশ খানিকটা। ফলে ইসলামকে বুঝার সুযোগ  হয়েছে তাদের। ইসলামি বই পত্র, লেকচার সিরিজ, ইত্যাদি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রেমের সম্পর্ককে বৈধ করতে তৎপর হয়ে উঠেন তরুন তরুনীরা ফলে অল্প বয়সেই বিয়ের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থায়ী করছেন অনেকেই। 

এসব তরুন তরুনীদের মধ্যে কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়ুয়ার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ প্রবনতা খুবই কম দেখা যায়। এর কারন হিসাবে অনেক ছাত্র ছাত্রীরা দুষছেন সহশিক্ষা,ও নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার সুযোগকে। ফলে বাধ্য হয়ে ধর্মীয় পবিত্রতা বজায় রাখতে করতে হচ্ছে বিয়ে। এসব বিয়ের একটা অংশ পরিবারের সম্মতিতে হলেও অধিকাংশ বিয়েই হচ্ছে অভিবাবকের অনুমতি ছাড়া। স্বামী স্ত্রীর মত একত্রে না থেকে দুজন থাকেন দুজনের পরিবারে। বজায় রাখেন নিজেদের সম্পর্ক ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,  "আপনি দেখেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা, সেখানে প্রতিটা ধাপে আপনার ফিমেল ক্লাসমেটদের সাথে বোঝাপড়া করা লাগে,দৈহিক মেলামেশা একদম পান সিগারেটের  মত সস্তা অথচ আমরা তো মুসলিম, ইসলামে এমন মেলামেশার সুযোগ তো নাই, তাই যদি বিয়ে করে রাখা যায় তাহলে একটা সম্পর্ক তৌরী হয় যেটা হালাল, আপনার তখন আর গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা নাই, অথচ বিয়ের কথা বললেই বাঁকা চোখে দেখতে থাকে সবাই ।"  

অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, "স্কুলের গন্ডি পার না করলেও প্রেম, এমনকি ব্যাভিচার করতেও শোনা যায় অনেককে  কিন্তু এটা তো একদম স্বাভাবিক চাহিদা, এটা যদি বিয়ে ছাড়াই এত সহজ হয় তাহলে বিয়ে করে কঠিন হওয়ার তো কোনো যৌক্তিকতা নাই বাল্যপ্রেম নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন উঠে না, তাহলে কলেজ বা ভার্সিটিতে বিয়ে হলে সমস্যা কোথায়? হ্যা একটা মিনিমাম ইনকাম তো জরুরী তবে সেটা ৫ কিংবা ৬ ডিজিটের স্যালারি না হলেও দুটো মানুষ চলতে পারে।" 

এ সম্পর্কে আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের খতিব হযরত আনোয়ার শাহ তাহেরি জাবেরি আল মাদানি মুঠোফোনে প্রজন্ম নিউজকে জানান  " কেউ স্বাবালকত্বে পৌছালে অভিবাবকের অনুমতি ব্যাতীত বিয়ে হয়ে যাবে, কিন্তু এটা সৌন্দর্য নয়, সৌন্দর্য হলো সবাইকে নিয়ে বিয়ে করা সবাইকে জানিয়ে করা।" 

উল্ল্যেখ বর্তমানে ছেলেদের গড় বিয়ের বয়স ২৪ ও মেয়েদের  ১৮.৫ বছর যা আগের বছরের চেয়ে কম। অর্থাৎ কমে আসছে বেশি বয়সে বিয়ের প্রবণতা।


 আসাদুজ্জামান 
 চট্টগ্রাম
 হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ