প্রশ্নফাঁসে জড়িত মাউশি কর্মকর্তা গ্রেফাতার

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই, ২০২২ ০৩:১৭:২৫

প্রশ্নফাঁসে জড়িত মাউশি কর্মকর্তা গ্রেফাতার

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন নামে এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি ৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।

রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫১৩টি পদের বিপরীতে অংশ নেন প্রায় পৌনে দুই লাখ চাকরিপ্রার্থী। এরপর থেকেই নিয়োগ পরীক্ষাটি বাতিলের দাবি ওঠে।

গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কাছে তথ্য আসে যে, নিয়োগ পরীক্ষাতে প্রশ্নফাঁস হয়েছে। পরে পরীক্ষা চলাকালে ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরি প্রার্থী সুমন জোয়ার্দার নামে একজনকে আটক করা হয়। এসময় দেখা যায় তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ছোট ছোট করে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল।

পরে আটককৃতের মোবাইল চেক করে দেখা যায়, পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেই একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর চলে আসে।

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুল ইসলাম নামে এক স্কুল শিক্ষককে। সাইফুল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক। সুমন আর সাইফুলের দেওয়া তথ্যে বেরিয়ে আসে মূল হোতাদের নাম। গোয়েন্দারা জানতে পারেন প্রশ্নফাঁসে জড়িত খোদ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন। তারা হলেন, অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব, অফিস সহকারী নওশাদুল ইসলাম। এর বাইরেও আসে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষক রাসেদুল ইসলামের নাম।


প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ