দীর্ঘসময় মাস্ক পরে থাকলে মাথা ব্যথা হয় কেন?

প্রকাশিত: ২২ জুলাই, ২০২২ ০৫:১৩:৩১

দীর্ঘসময় মাস্ক পরে থাকলে মাথা ব্যথা হয় কেন?

করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ববাসী কিছুটা নিস্তার পেতে যাচ্ছিল ঠিক সে সময়েই আবারো বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। গৃহবন্দী বাস, মাস্ক, স্যানিটাইজার, দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি একঘেঁয়ে জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে পা রাখতে না রাখতেই পূর্বের অবস্থায় যাওয়ার মতো আতঙ্কের জন্য দিচ্ছে এই ভাইরাস। কিন্তু এতো দিনের রুদ্ধকর জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে পা দেওয়া মানুষগুলো আর সেই সদ্য বিদায়ী জীবনে ফেরত যেতে চাইবে? নিশ্চয়ই না! তাহলে কি আমরা দেদারচে সংক্রমিত হবো? করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় মাস্ক পরার বিকল্প নেই। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ফিরতেও সচেতনাবলম্বনের সহিত মাস্ক পরিধান করা জরুরি। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মাস্ক পরে থাকা অস্বস্তিকর এবং মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে অনেকের ক্ষেত্রেই।

দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরলে মাথায় যন্ত্রণা

করোনা মহামারির হাত থেকে বাঁচাতে মাস্ক বড় ভূমিকা পালন করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকার নানা কুফলও সামনে আসছে। অধিকাংশেরই অভিযোগ, মাস্ক পরার কারণে ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি মাথায় যন্ত্রণাও হচ্ছে, শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিচ্ছে। যাদের সর্দি, অ্যাজমা, অ্যালার্জি বা ত্বকের সমস্যা আছে, তাদের মাস্ক পরাটা আরও সমস্যার। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিজের এবং অন্যের নিরাপত্তার জন্যই সবাইকে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।

মাস্ক ব্যবহারে মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে কেন?

মাথার খুলির সঙ্গে নিচের চোয়ালকে যুক্ত রেখেছে টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট। দীর্ঘক্ষণ টাইট মাস্ক পরে থাকলে এখানে ব্যথা হয়। কারণ মাস্ক পরে থাকার ফলে চোয়ালের স্বাভাবিক নড়াচড়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। তখনই চোয়ালের স্নায়ু মস্তিষ্কে ব্যথার সংকেত পাঠায়। এটাকেই মাথার যন্ত্রণা বলে মনে হতে পারে।

এর থেকে বাঁচার উপায়

১. কানে টান পড়ে এমন টাইট মাস্ক না পরাই ভালো। এতে কানের আশপাশের স্নায়ুতে চাপ পড়ে।

২. মাস্ক পরার পর চোয়াল এবং দাঁত কী অবস্থায় থাকছে খেয়াল রাখতে হবে। চোয়াল যেন স্বাভাবিক নড়াচড়া করতে পারে। টাইট মাস্ক চোয়ালের পেশি এবং দাঁতকে শক্ত করে তোলে।

৩. কিছু ঘাড়ের ব্যায়াম করলেও আরাম মিলবে।

চোয়ালের ব্যায়াম

১. মুখগহ্বরের উপরে জিভ স্পর্শ করাতে হবে। তার পর ধীরে ধীরে মুখটা খুলতে এবং বন্ধ করতে হবে। এতে মুখের পেশিতে চাপ পড়বে। চোয়ালে আরাম হবে।

২. অল্প হাঁ করতে হবে। এর পর নিচের চোয়ালটা একবার ডান দিকে, আরেকবার বাঁ দিকে নিয়ে যেতে হবে। এভাবে একেক দিকের চোয়ালে ৫ বার করে মোট ১০ বার ব্যায়ামটা করতে হবে।

মাস্ক ব্যবহার করাই এখন নিরাপদ

পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, মানুষ স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে ইতোমধ্যেই। যদিও করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের একটাই অস্ত্র হাতে রয়েছে, তা হলো টিকাকরণ। অবশ্য তারপরেও মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ