পুষ্টির দিক থেকে সেরা দেশি ঘি

প্রকাশিত: ২১ জুলাই, ২০২২ ১১:২১:৪৭

পুষ্টির দিক থেকে সেরা দেশি ঘি

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ঘি- খেলে মোটেই ওজন বাড়ে না। বরং খাবারের স্বাদ বজায় রাখতে সাহায্য করে ঘি। ঘি-এর মধ্যে ভাল ফ্যাটের পরিমাণই সবচাইতে বেশি। রোজ এক চামচ ঘি খেলে হার্ট ভাল থাকে। ত্বক, চুলের কোনও সমস্যা থাকে না। সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি খেতে পারলে হজম ভাল হয়, এমন পরামর্শ যুগের পর যুগ ধরে দিয়ে আসছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। 

গরম ভাতে গাওয়া ঘি-এর মত তৃপ্তি আর অন্য কোনও খাবারে পাওয়া যায় না। ঘুমনোর সময় নাকের ছিদ্রে এক ফোঁটা ঘি দিলে বলা হয় ঘুম ভাল হয়। সেই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। শরীরের ভিতর থেকে যে কোনও সংক্রমণ বা গভীর ক্ষত সারিয়ে তুলতেও কাজে লাগে ঘি।

তবে সবার জন্য কিন্তু খাঁটি গাওয়া ঘি ভাল নয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রেখার মতে যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, সামান্য খাবারেই অ্যাসিডিটি হয়, পেটের রোগ সারা বছরের সঙ্গী তাঁদের কিন্তু ঘি খাওয়া একেবারেই ভাল নয়।

বদহজমের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, আলসার বা গলব্লাডারের সমস্যা থাকলে তার প্রধান উপসর্গ হল এই বদহজম। এছাড়াও অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা বাড়লেও কিন্তু অ্যাসিডিটি, পেট ব্যথা এসব বেশি হয়। তাঁদেরও তখন বেশি মশলাদার খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।
দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা লিভারের সমস্যায় ভুক্তভোগী তাঁদের জন্যেও একেবারে ভাল নয় ঘি। এতে লিভারের কোষের ক্ষতি হয়। লিভার তার নিজস্ব কার্যকারিতা হারায়। তাই এক্ষেত্রে নিজেকে বাঁচিয়ে চলা আবশ্যক। লিভার কাজ না করলে পুরো শরীরই শেষ হয়ে যায়। জন্ডিস হলেও কিন্তু ঘি একেবারেই চলবে না।

কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা যদি বেশি থাকে তাহলেও কিন্তু ঘি চলবে না। কারণে পরিমাণের তুলনায় বেশি ঘি খেলে শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে জমতে শুরু করে। ফলে কোলেস্টেরল বাড়ে। তাই কোলেস্টেরল বেশি থাকলে ঘি একেবারেই চলবে না। এছাড়াও জ্বরের সময় শরীর দুর্বল থাকে। মুখে স্বাদ থাকে না। ধাবার হজম করতেও অসুবিধে হয়। এই রকম সমস্যাতেও কিন্তু ঘি নয়।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমআরএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ