যে ২ ভিটামিনের অভাবে অন্ধ হয়ে যায় মানুষ

প্রকাশিত: ২০ জুলাই, ২০২২ ০৬:১৬:১৪

যে ২ ভিটামিনের অভাবে অন্ধ হয়ে যায় মানুষ

চোখ শরীরের স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। অথচ চোখের ওপরই পড়ে অনেক চাপ। নানা কারণে বাড়তে পারে অন্ধত্বের ঝুঁকি। এ ছাড়া ভিটামিনের অভাবে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যেতে পারে যে কেউ।

আজকাল কাজের চাপ, মানসিক চাপ প্রচুর। নিজের জন্য সময় বলতে কিছুই থাকে না! সারাক্ষণ চাপের মধ্যে থাকতে গিয়ে সাধারণ কাজেই হচ্ছে অসংখ্য ভুল। এর পাশাপাশি কিন্তু প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারেও ঘাটতি থেকে যায়। এতে নানা সমস্যা জেঁকে বসছে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে সেখান থেকেই আসে একাধিক সমস্যা।

শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো থেকে হাড়ের যত্ন নেয়া, হরমোনের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা থেকে সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখা—পুষ্টিকর উপাদানের বিকল্প নেই।

তাই যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, শরীর সুস্থ রাখা আবশ্যক। আর শরীর সুস্থ রাখতে মোট ১৩টি ভিটামিন প্রয়োজন। বিভিন্ন ভিটামিনের কার্যকারিতা ভিন্ন। এই ভিটামিনের ঘাটতিই বিভিন্ন অসুস্থতার কারণ হয়ে ওঠে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সব কটি ভিটামিনের কথা মাথায় রেখে খাওয়া-দাওয়া করলে সুস্থ থাকা অনেক সহজ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিটামিনের ঘাটতি হলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, অস্থিরতা, হাড়ের ঘনত্ব হ্রাসের মতো কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে ভিটামিনের ঘাটতি প্রকাশ পেতে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন এ ও বি১২-এর ঘাটতি প্রভাবিত করতে পারে দৃষ্টিশক্তিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ভিটামিন এ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে কর্নিয়াকে শুষ্ক করে তোলে। ঝুঁকি বাড়ায় অন্ধত্বের। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়।

ডব্লিউএইচওর তথ্যানুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রায় প্রতিবছর ২৫ লাখ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভিটামিন এ-র অভাবে ভুগে থাকে। একইভাবে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতিও দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার কারণ হয়ে ওঠে। ভিটামিন এ-র অভাবে মূলত রাতকানা রোগ হয়ে থাকে। এ ছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ, র‌্যাশের মতো সমস্যা দেখা যায়।

অন্যদিকে, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি দেখা দিলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, মুখের আলসার, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দেয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, ভিটামিন এ-র ঘাটতি পূরণ করতে পারে পনির, ডিম, তৈলাক্ত মাছ, পালং শাক, গাজর, মিষ্টি আলু, দুধের মতো ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার। অন্যদিকে, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিনের পাতে রাখতে হবে সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমআরএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ