হাসি যেন থেমে না যায়

প্রকাশিত: ২৮ জুন, ২০২২ ১০:৩৬:২২ || পরিবর্তিত: ২৮ জুন, ২০২২ ১০:৩৬:২২

হাসি যেন থেমে না যায়

আমি পদ্মা ঘাটের দিন মজুরের কথা ভাবছি,

আমি পদ্মার ফেরির কথা বলছি।

পুরনো ফেরিগুলো আগের মত চলবে না,

ফেরিওয়ালা আগের মত ফেরি পথে ঘুরবে না।

লঞ্চের ভরাডুবির দৃশ্য আর দেখা যাবে না,

পদ্মার বুক চিরে ভডভড শব্দে লঞ্চ চলবে না।

ইলিশ মাছের পাতলা ঝোলে

এক থালা ভাত আর খাওয়া হবে না।

বাউলিয়ার একতারা সুর বাজবে না,

আবেগী সুরে কেউ বলবে না

লাগবে ঝাল মুড়ি!

হয়তবা পদ্মার মাছ, রকমারী পণ্য, হারিয়ে যাবে।

হাজারও মানুষের মন কিছুক্ষণের জন্য ভেঙ্গে যাবে।

তারপরও কোটি কোটি মানুষের মুখে ফুটবে হাসি,

দক্ষিণ-পশ্চিমে সূর্য ঠিক আগের মতই উঠবে।

দিন শেষে সন্ধা নেমে সবকিছু মলিন হবে,

খুশির মেলায় ভেসে যাবে সব আবেগ।

এমন একটি সময়

হাসি যদি না আসে ভাই

আগের মতো করে

কি করে হাসবে তারা?

বল না আমারে।

এরা হেসেছিলো বহু আগে

মনের মত করে,

সে হাসি ফাঁকি দিয়ে

চলে গেছে সরে।

ভুলে গেছে হাসতে তারা

হাসবে কেমন করে?

যা কিছু ছিল ভালো

সব গেছে আজ সরে,

হাসি এখন আসে না আর

আগের মত করে।

মনে বড় কষ্ট তাদের

বোঝাবে কি করে।

হাসিতো যে মানুষগুলো পদ্মা নদীর ধারে,

ধরিয়া রাখিও তাদের হাসিটুকু,

যেন তারা অকালে ঝরে না পড়ে!

পদ্মার পাড়ে বাস করছে যারা

ভালো কি আছে তারা?

জানতে মন চায়!

কি লাভ হবে জেনে?

বিবেকে তা কয়।

বাস্তবতা, সবকিছু ভুলিয়ে বিলিয়ে দেবে নিজেকে,

হয়তবা এসব কথা কেও মনে রাখবে না,

হয়তবা বাকি সব হবে ইতিহাস।

আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি

যদি আসে কোনোদিন

সেই মেহনতি মানুষের মুখে হাসি!

লেখক : রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার, সুইডেন।


প্রজন্মনিউজ২৪/এম আর এ


 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন