বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক কলেজ ছাত্রীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা)কে নিয়ে কটুক্তি ও অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত ছাত্রীর নাম রনিত বালা রনি (১৮)। সে উপজেলার চরডাকাতিয়া গ্রামের রমনি বালার মেয়ে ও চিতলমারী শেরে বাংলা কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে তার ‘Ronit Bala roni" নামক ফেসবুক আইডিতে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা)কে কটুক্তি ও অবমাননাকর স্ট্যাটাস দেয় এবং ভিডিও ভাইরাল করে।

এ বিষয়ে সংবাদ পেয়ে চিতলমারী থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ তাৎক্ষণিকভাবে কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, উক্ত আইডি হ্যাক করে অন্য কেউ এ ধরণের পোস্ট দিতে পারে। পরবর্তীতে ঘটনা যাচাই বাছাইয়ের জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ তাকে পুলিশ হেফাজতে থানায় নেওয়া হয়।

এদিকে উক্ত পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারই সূত্র ধরে, ২০ জুন দুপুর ১২টার দিকে চিতলমারী থানার সামনে তার সঠিক বিচারের দাবীতে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ একত্রিত হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা চিতলমারী থানা ভবনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে থানা ভবনের জানালার কাচের গ্লাস, অভ্যন্তরে রক্ষিত একটি গাড়ি ও পুলিশ পিকআপ ভ্যানসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

পুলিশ মিডিয়া সেলের মুখপাত্র পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, উক্ত কলেজ ছাত্রীর ফেসবুক আইডির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এলআইসি কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, এসময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ২৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোঁড়ে। উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইট পাটকেলে ১২ জন পুলিশ সদস্য ও ৮ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়। থানা অভ্যন্তরে রাখা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এর ব্যবহৃত গাড়ি, একটি পুলিশ পিকআপ, চারটি মোটরসাইকেল, থানা ভবনের জানালার গ্লাস ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এসময় ১২ জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি উর্ধ্বতন অফিসারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ