কুমিল্লায় ব্রিটিশ আমলের জমিদার বাড়ি ধ্বংসের মুখে

প্রকাশিত: ২০ জুন, ২০২২ ১২:১১:১৬ || পরিবর্তিত: ২০ জুন, ২০২২ ১২:১১:১৬

কুমিল্লায় ব্রিটিশ আমলের জমিদার বাড়ি ধ্বংসের মুখে

মুরাদনগর প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা জেলার, বড়ুরা উপজেলায়, গালিমপুর গ্রামে ব্রিটিশ আমলের দুটি নান্দনিক ভবন জমিদার বাড়ি আজ ধ্বংসের মুখে। ভবনটির কাজ করা হয় অসাধারণ কারুকাজ দিয়ে। অযত্ন ও অবহেলার কারনে খসে পড়েছে ভবনের ভিতর ও বাহিরের আবরণ। 

ভবনটির পাশেই রয়েছে কর আদায়ের একটি ভবন, যেখানে জমিদারের আমলে কর আদায় করা হতো, ভবনটির মালিক ছিলো গালিমপুরের রায় বাহাদুর যতিস চন্দ্র কর চৌধুরী। সেখানে জমিদার যতিস চন্দ্র কর চৌধুরী তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ।

১৯৬৪ সালে জমিদার যতিস চন্দ্র কর চৌধুরী এর পুত্র জমিদার করুণা চন্দ্র কর চৌধুরী ভারতীয় নাগরিক আসাদ আলী ভূঁইয়ার সাথে রদ বদলের মাধ্যমে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সোনামুরায় চলে যান, এবং ভারতে বসবাস কারি আসাদ আলী ভূঁইয়া বাংলাদেশে চলে আসে। জানা যায় যে, আসাদ আলী ভূঁইয়ার পরিবার দীর্ঘদিন যাবত এই রাজ বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন। ভবনটি তৈরি করে তখনকার সময়ের ইট, রট, এবং বালি দ্বারা ভবনটির কাজ করেছিলো, কিন্তু দরজা জানালাগুলি ছিলো কাঠ দ্বারা তৈরিকৃত।

এই ভবনটি দেখে যেন মনে হয় এই দৃশ্য যেন সেই ব্রিটিশ আমলের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুমিল্লার, বড়ুরা উপজেলাতে। সম্প্রীতি এই নান্দনিক কারুকাজ করা ভবনটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অযত্ন ও অবহেলার কারনে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, তৎকালীন রায় বাহাদুর যতিস চন্দ্র কর চৌধুরী জমিদার তার মায়ের নামে একটি হাসপাতাল, একটি হাই স্কুল, এবং একটি প্রাইমারি স্কুল করার জন্য জমি দান করেন। এই বিষয়ে কথা হয় গালিমপুর সরকারি প্রথমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী রানি চক্রবর্ত্তীর সাথে।

 

তিনি জানান, ১৯৫০ সাল থেকেই রাজ প্রথা বন্দ হয়ে যায় তার পর থেকেই তারা ভারতে চলে যায়। কিন্তু জনাব আসাদ আলী ভূঁইয়ার বংশধর এখনো আছেন, তিনি চান যদি স্কুলের সাথে সাথে যেন ব্রিটিশ আমলের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কুমিল্লার বড়ুরা উপজেলার এই নান্দনিক কারুকাজ করা ভবনটি একটি দার্শনিক স্থানে পরিচিতি পান, এবং এই রাজবাড়ীর সংস্কার করা হোক। 


ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আলম সাহেব বলেন গালিমপুরে এই জমিদারের অনেক কৃতিত্ব রয়েছে, স্কুলের জন্য ৪ একর জমিদান করছেন, পোষ্ট অফিস  এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেছেন। তিনি চায় এই নান্দনিক জমিদার বাড়ী আবারো সুন্দর ঝাঁকজমক হোক যেখানে মানুষ ঘুরতে আসতে পারে, বেরাতে আসতে পারে, তা যেন একটি দার্শনিক স্থানে পরিচিতি পায়। 

আসাদ আলী ভূঁইয়ার বংশধর আলমগীর ভূঁইয়া তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা যেমন এই গ্রামের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন তেমনি আমরা সহ চেষ্টা করেছি ঈদগাহ, এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে। তিনি আমাদেরকে জানান পূর্বপুরুষের এই সৃতি আবার আগের ন্যায় সৌন্দর্যরূপ করার ইচ্ছে আছে, যদি ভবিষ্যতে সুযোগ হয় করবেন। এবং এটি একটি নিদর্শন হিসেবে রাখার চেষ্টা আছে তাদের।
 


প্রজন্মনিউজ২৪/ফিরোজ

এ সম্পর্কিত খবর

শিক্ষক মরহুম আবু তালেবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া

ইরানে হামলার পর নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বলল অস্ট্রেলিয়া

ছাত্রলীগ নেতার পর একই নারীর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল

ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, এলাকাবাসীর পিটুনিতে নিহত ২

ঈদের আমেজ কাটেনি বাজারে, ফাঁকা ঢাকাতেও দাপট গরু-খাসির

গাজা: বিমান হামলায় বেঁচে যাওয়া বালকের প্রাণ গেল সাহায্য নিতে গিয়ে

ঢাকায় আসতে না পেরে দুবাই-শারজাহর ১০ ফ্লাইট বাতিল

পর্তুগালে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের স্থাপত্য প্রদর্শনী

কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাদরাসাছাত্র নিহত

১২ বছর ধরে ইমামতি করে বেতন দুই হাজার, সেটাও ঠিকমতো পান না

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ