কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা রেলস্টেশনে চলন্ত ট্রেনে সামনে আত্মহত্যাকারী ওই নারী জীবিত রয়েছে। ঘটনার পর তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ওই নারীর নাম জান্নাতুল (৩৫), তার বাবার নাম ইয়াকুব খান।

ভিডিওতে দেখা যায়, তার পরনে ছিল লাল রঙের ওড়না ও কালো রঙের বোরকা। মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি স্টেশন থেকে চট্রগ্রাম যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল সে সময় জান্নাতুল চলন্ত ট্রেনের সামনে নেমে পড়লে ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন।

ঘটনার পর সেখানে থাকা লোকজন তাকে মৃত ভেবে নেয়। কিন্তু ট্রেনটি তাকে অতিক্রম করলে তিনি উঠে বসার চেষ্টা করেন। তাকে জীবিত দেখে কুমিল্লা রেলস্টেশনের পুলিশ ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেনের সহায়তায় তাৎক্ষনিক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জান্নাতুলের চিকিৎসা করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ডা. রাফি। তিনি জানান, আল্লাহর অশেষ কৃপায় তেমন বেশি কিছু ক্ষতি হয়নি। জান্নাতুলের একটি পা থেতলে যাওয়ায় পা কেটে ফেলা হয়। কয়েক মাস পরেই ওই পায়ে কৃত্রিম পা প্রতিস্থাপন করা যাবে বলেও জানান তিনি।

কেন জান্নাতুল আত্নহত্যা করতে চেয়েছিল?

জান্নাতুলের সাথে কথা বলে জানা যায়, একমাত্র ছেলে, স্বামীকে নিয়েই ছিল তার সংসার। কিন্তু স্বামী তার অমতে অন্যত্র আরেকটি বিয়ে করেন। এতে স্বামীর সাথে কলহের সৃষ্টি হয়। মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তিনি। পারিবারিক কলহ, মানসিক বিষণ্নতা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

জান্নাতুল বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে আমি আমার সন্তান নিয়ে আবারো নতুন করে সুন্দর এই পৃথিবীতে বাঁচতে চাই।

প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ