মুড়ির মজাদার সব উপকারিতা

প্রকাশিত: ১০ জুন, ২০২২ ০১:১২:২১ || পরিবর্তিত: ১০ জুন, ২০২২ ০১:১২:২১

মুড়ির মজাদার সব উপকারিতা

“মুড়ি খেলে ভূঁড়ি কমে” গ্রামাঞ্চলে এমন একটি বাক্যের প্রচলন রয়েছে। যদিও এটি হাস্যচ্ছলে বলা হয়ে থাকে। রোজার মাসে এই মুড়ি ছাড়া যেন চলেই না, ইফতারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে মুড়ি। আবার মেঘলা দিনে সরিষার তেল দিয়ে মাখা মুড়ি যে একবার খেয়েছে সেই জানে মুড়ির মজা কোথায়!

একটা সময় ছিল যখন গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে মুড়ি ভাজার রোল পড়ে যেত। বিশেষ করে রোজার শুরু, ঈদের আগে; তাছাড়াও অন্যান্য দিনগুলো তো আছেই।

চিকিৎসকরা বলছেন, একমুঠো মুড়ির গুণ একটি ওষুধের গুণের সমান! উপকরণটির মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ সারিয়ে ফেলতে পারে বিভিন্ন রোগ!

ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে মুড়ি। তাই অনেকেই মুড়ি এড়িয়ে চলেন। কিন্তু মুড়ির গুণও নেহাত কম নয়। প্রতিদিন মুড়ি খেলে ক্ষতির চেয়ে লাভের সম্ভাবনাই বেশি। মুড়ি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, এর উপকারিতাও আছে অনেক।

মুড়ি দেখতে যেমনি ধবধবে সাদা তেমনি এর উপকারিতাও সাদা। এবার হয়ত ভাবছেন মুড়ি নিয়ে মশকারি করছি। না মশাই, মশকারি করছিনা। সত্যিটা বললে, মুড়ির গুণ কিন্তু কম নয়! আপনি যদি প্রতিদিন মুড়ি খান তবে ক্ষতির বদলে লাভই কিন্তু বেশি। জেনে নিন মুড়ি খেলে কী উপকারিতা মিলবে-

 

  • মুড়ি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে পারে। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আসে। বাড়াবাড়ি রকমের অ্যাসিড হলে, মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত অ্যাসিডের সমস্যা কমবে। 
  • মুড়িতে রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রন। এ ছাড়া মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয়। এর ফলে দাঁত ও মাড়ির একটা ব্যায়াম হয়। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়।
  • প্রতিদিন মুড়ি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে আপনার রক্তচাপও। এতে সোডিয়ামের মাত্রা কম। ফলে এটি খাওয়ার পর পেট ভরলেও রক্তচাপ বাড়ে না। এ ছাড়া যাদের পেটের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে মুড়ি বিশেষ উপকারী।
  • মুড়িতে ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম। অল্প খিদে পেলে মুড়ি খেলে পেট ভরে যায়। ক্যালরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। যারা হালকা খাবার হিসেবে নিয়মিত মুড়ি খান, তাদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ। সাধারণত এক কাপ মুড়িতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্যালরি থাকে।
  • মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয়। এর ফলে দাঁত ও মাড়ির একটা ব্যায়াম হয়। নিয়মিত মুড়ি খেলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে।
  • মুড়িতে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার পুষ্টিগুণ। ফলে মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের উন্নতি এবং কগনেটিভ ফাংশনের উন্নীতে সাহায্য করে।
  • মুড়িতে ভিটামিন বি ও প্রচুর পরিমাণে মিনারেল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

 

এছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ মুড়িতে যে খাদ্যগুণ আছে তার বিশ্লেষণ নিম্নরূপ:

ক্যালরি------------------ ৪০২ গ্রাম ।
ফ্যাট/চর্বি---------------- ০.৫ গ্রাম
কোলেস্টেরল-------------------- নেই ।
শর্করা------------------- ৮৯.৮ গ্রাম ।
প্রোটিন------------------ ৬.৩ গ্রাম ।

খনিজ লবণ:

ক্যালসিয়াম----------------------- ৬ মি.গ্রা. ।
ফসফরাস------------------------ ৬ মি.গ্রা. ।
সোডিয়াম--------------------- ৩ মি.গ্রা.

 

কম ক্যালরির পেট ভরানোর খাবার মানেই মুড়ি। যাদের বার বার খিদে পায়, অথচ সারাদিনে বেশিরভাগ সময়ে অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজ করার জন্য শরীরে ক্যালরির চাহিদা কম, তাদের জন্য বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে মুড়ি হতে পারে আদর্শ খাবার।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ