দেশের ব্যাংক খাতের মূল চ্যালেঞ্জ, ডলারের দাম বৃদ্ধিতে

প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০২২ ০৬:০০:১৪ || পরিবর্তিত: ২৮ মে, ২০২২ ০৬:০০:১৪

দেশের ব্যাংক খাতের মূল চ্যালেঞ্জ, ডলারের দাম বৃদ্ধিতে

ডলারের দাম বৃদ্ধিকে দেশের ব্যাংক খাতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির ঝুঁকি বিবেচনায় মূল্যস্ফীতি বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে শনিবার আল-আরাফাহ্‌ ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

গভর্নর ফজলে কবির বলেন, কোভিডে ১৮৯ জন ব্যাংকার মারা গেছেন। এখন ব্যাংক খাতের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি এবং ডলারের দর বৃদ্ধি।এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডলার সহায়তা দেওয়া হলেও সংকট মোকাবিলায় ব্যাংক খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

‘ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিলাস পণ্যের আমদানিতে ব্যাংকগুলোকে নিরুৎসাহিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখানে সরকারি, বেসরকারি সব ব্যাংককে সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।’

বেশ কয়েকটি ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে উল্লেখ করে ফজলে কবির বলেন, করোনাকালে সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) আওতায় বরাদ্দকৃত টাকা স্বাস্থ্য খাতে বেশি ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, তবে শিক্ষা খাতে ব্যাংকগুলো এগিয়ে এসেছে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকটি এককালীন ৮ হাজার টাকা দিচ্ছে।

এটাকে ১০ হাজার করার প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর। পাশাপাশি প্রতি মাসে সাড়ে ৩ হাজারের পরিবর্তে একটা রাউন্ড ফিগার (যেমন: চার হাজার, পাঁচ হাজার) করার তাগিদ দেন তিনি।

গভর্নর বলেন, ‘দারিদ্র্য ও নানাবিধ প্রতিকূলতায় আমাদের অনেক মেধাবী অকালেই ঝরে যায়। আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে, সে জন্য আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি নিঃসন্দেহে একটি যথার্থ ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’

আল-আরাফাহ্‌র এমডি ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং দেশ ও জাতির উন্নতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ সেলিম রহমান বলেন, ‘আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ড পালন করে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) আওতায় আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০০ শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি দিয়ে আসছে। স্নাতক পর্যায়ে চার বছরের জন্য এ বৃত্তি দেয়া হয়।

২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। আর নতুন ও পুরোনো মিলে প্রতি বছর আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রমের আওতায় ৮০০ শিক্ষার্থীকে প্রায় ৪ কোটি টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে প্রতি মাসে সাড়ে তিন হাজার এবং এককালীন ৮ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা পাবেন।


প্রজন্মনিউজ২৪/মনিরুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ