ক্ষতিগ্রস্তরা নতুন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ চান 

প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০২২ ০৩:০৫:১৩ || পরিবর্তিত: ২৮ মে, ২০২২ ০৩:০৫:১৩

ক্ষতিগ্রস্তরা নতুন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ চান 

৮ মে, ঈদের পর ব্যবসায়ীদের অনেকেই ঢাকায় ফিরে কেবল মাত্র দোকান খুলেছেন। হঠাৎ এলো সিটি করপোরেশন থেকে বার্তা। আজই দোকান ভেঙে ফেলা হবে, দ্রুত সরাতে হবে মালামাল। এমন খবরে গুলিস্তানের হকার্স মার্কেটের দোকানিরা জিনিসপত্র সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

কেউ পিকআপ ভ্যান, কেউবা রিকশা ভ্যানে করে দ্রুত সরাতে শুরু করেন দোকানের মালামাল। যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে দাবি করা হয়, গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত হকার্স মার্কেটটি ভেঙে দেওয়া হবে— এমন নোটিশ ব্যবসায়ীদের একাধিকবার পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বিষয়টি জানতেনই না। ঈদের পর তারা যখন বাড়ি থেকে এসে দোকান খুলতে শুরু করেছেন, ঠিক সে সময় তাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে দোকানিদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, আগে জানতে পারলে তারা সুন্দরভাবে মালামাল সরিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। 

তারপরও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের আশা, পরবর্তীতে এখানে যখন বহুতল মার্কেট নির্মাণ হবে, তখন তাদের যেন নতুন দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।

গুলিস্তান মাজারের ঠিক উল্টো পাশে ২৫ কাঠা জায়গার ওপর দোতলা টিনশেড মার্কেটটির মালিক দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সেখানে বৈধ বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১৪৭ জন। অবৈধ ব্যবসায়ীর সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। গত ৮ মে ডিএসসিসি অবৈধ পাঁচ শতাধিক দোকান গুঁড়িয়ে দেয়। এখন সেখানে ১০ তলা মার্কেট নির্মাণ করা হবে

ক্ষতিগ্রস্ত ‘ইউনিক স্পোর্টস’ দোকানের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, অনেক বছর হলো এখানে দোকান চালাই। মার্কেট ভাঙার বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। ঈদের পর যে দিন দোকান খুলি, সে দিনই দোকান ভাঙার কথা জানতে পারি। দ্রুত পিকআপ ভ্যান এনে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। অনেকেই জিনিসপত্র সরাতে পারেননি।


‘যাদের অন্য মার্কেটে দোকান আছে তারা হয়তো ব্যবসা চালিয়ে নিচ্ছেন, কিন্তু আমার মতো যাদের আর কোনো দোকান নেই তাদের কথা একবারও কেউ ভাবল না। এখন আমরা কই যাব, সংসার কীভাবে চালাব? অনেকে রাস্তায় অস্থায়ী দোকান দিছে, অনেকে আবার মালামাল বিক্রি করে ফেলছে। ক্ষতি যা হবার হয়েছে, এখন আমাদের একটাই দাবি, বহুতল মার্কেট নির্মাণের পর আমাদের যেন দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।’


প্রজন্মনিউজ২৪/জাহিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ