বিদ্যালয় ভাড়া দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৫ মে, ২০২২ ১০:০৭:৩৩

বিদ্যালয় ভাড়া দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ

খন্দকার রাকিবুল ইসলাম,রংপুরঃ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের হুলাশুগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাড়া দিয়ে কোচিং চালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানায়, ২০০৭ সালে হুলাশুগঞ্জ আদর্শ কোচিং সেন্টার নামে অত্র বিদ্যালয়ে কোচিং সেন্টার চালু করা হয় প্রধান শিক্ষকের পৃষ্ঠপোষকতায়। তারপর সময়ের ব্যবধানে কখনো কোচিং, কখনো প্রাইভেটের নাম করে প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান। বাইরে নেই কোন সাইনবোর্ড, নেই কোন ব্যানার। কিন্ত প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সকাল ৭ টা থেকে ৯টা ও  বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যাচ আকারে নিয়মিত চলে এ কোচিং ক্লাশ। ব্যাচে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হয়।

বিদ্যালয় সংলগ্ন বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানান,দীর্ঘদিন ধরে এ কোচিং বাণিজ্য চলছে। প্রায়ই স্কুল রুমের ফ্যান, লাইট বন্ধ না করেই চলে যায় কোচিং পরিচালক শফিকুল। সারারাত ধরে চলে ফ্যান, অপচয় হয় বিদ্যুৎ। অপব্যবহারের মাধ্যমে নষ্ট হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি, দেখার যেন কেউ নেই! এই কোচিং ভাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রধান শিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ তার।

কোচিং চলমান অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে কোচিং পরিচালক শফিকুল ইসলামকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এখানে কোন কোচিং হচ্ছে না। এই স্কুলের কিছু শিক্ষার্থীকে আমি এখানে প্রাইভেট পড়াই। স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে সকালে ও বিকালে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত এ প্রাইভেট পড়াই আমি। এর জন্য প্রধান শিক্ষক ভাড়া ও কারেন্ট বিল বাবদ কোন অর্থ নেন না। কোচিং অনেক আগে চলত। করোনার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। করোনাকালীন সময় থেকে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে আমি এখানে প্রাইভেট পড়াচ্ছি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান জানান, আমার বিদ্যালয়ে কোন কোচিং বাণিজ্য চলে না। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভূয়া। শুধুমাত্র আমার ভলান্টিয়ার শিক্ষক বিজয় ও শফিকুল আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সকাল ও সন্ধ্যা বেলা প্রাইভেট পড়ায়। মাঝে মাঝে ষষ্ঠ শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থীদের ইংরেজি প্রাইভেট পড়ায় শফিকুল। শফিকুল ও বিজয়ের বিরোধী গ্রুপের লোক এসব ভুয়া খবর রটাচ্ছে। আমি ৫৫০০০ টাকা বেতন পাই। আমি কেনো প্রতিষ্ঠান ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিবো। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিজেই বলেছেন বাহিরের কিছু শিক্ষক নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদাভাবে কোচিং করাও। কিন্তু শিক্ষকের অভাবে আমি এখনো কোচিং চালু করতে পারিনি।


এ বিষয়ে কথা বলতে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ