ফুলবাড়ীতে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ২৪ মে, ২০২২ ০৫:০৫:০৩ || পরিবর্তিত: ২৪ মে, ২০২২ ০৫:০৫:০৩

ফুলবাড়ীতে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হুমায়ুন কবির নামের এক যুবককে হত্যা করে ইটভাটায় লাশ গুম করে রাখার অপরাধে ৩ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান মন্ডল।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ফুলবাড়ী উপ‌জেলার দৌলতপুর ইউ‌নিয়‌নের গড়পিংলাই গ্রামের তাছের উদ্দিনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে কায়েস (৩০), একই গ্রামের মৃত আলিফ উদ্দিনের ছেলে মো. আতোয়ার ওরফে আতাউর আলী (৬০) ও মো. আজাহার আলীর ছেলে মো. রেজাউল করিম বাবু (৩৫)।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ফুলবাড়ীর গড়পিংলাই গ্রামের মো. আজাহার উদ্দিনের ছেলে মো. রব্বানী (৩২) ও মো. একরামুল হক (৩৮), একই গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. সাঈদ আলী (৪৫) ও মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩১)।

ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউ‌পির গড়পিংলাই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির (২৪) মুদির দোকান করত এবং ব্যবসা বাণিজ্য শেষে রাত ১০টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসত। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট বাসা থেকে বের হয়ে হুমায়ুন কবির আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২১ আগস্ট দুপুর ১২টায় উক্ত গ্রামের MIB ইটভাটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ভাংড়ী ইটের স্তুপের মধ্যে রক্তমাখা অবস্থায় হুমায়ুন কবির এর লাশ দেখতে পায় অত্র গ্রামের উজ্জ্বল নামের এক ছেলে। লাশটি দেখে উজ্জ্বল হুমায়ুন কবির এর পরিবারকে খবর দিলে তার পরিবার এসে গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় হুমায়ুন কবির এর লাশ উদ্ধার করে এবং ওই দিনেই হুমায়ুনের বড় ভাই মো. তোহিবুল ইসলাম (বাবু) উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন। বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সম্পদকে কেন্দ্র করে পারিবারিক শত্রæতার জের ধরেই হুমায়ুন কবিরকে হত্যা করা হয়।

পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত শেষে ৭জনকে আসামী করে আদালতে একটি চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন মামলার প্রক্রিয়া শেষে বাদী, বিবাদী, রাষ্ট্রপক্ষের উকিল ও আসামী পক্ষের উকিলের যুক্তিতর্ক এবং ১৬ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ২৩শে মে’২২ বিকাল ৪টায় দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান মন্ডল হত্যার সাথে যুক্ত থাকার অপরাধে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে কায়েস (৩০), মো. আতোয়ার ওরফে আতাউর আলী (৬০) ও মো. রেজাউল করিম বাবু (৩৫) কে ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদন্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে দুই বৎসরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়াও মো. রব্বানী (৩২), মো. একরামুল হক (৩৮), মো. সাঈদ আলী (৪৫) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩১) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বৎসরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত আসামীদের এছাড়াও ২০১ ধারায় তিন বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট শাহ্ মোস্তাফিজুর রহমান (টুটুল) এবং আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মো. ইসাহাক আলী।


প্রজন্মনিউজ২৪/নুরউদ্দিন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ