ধর্ষণের শিকার তরুণী

প্রকাশিত: ২২ মে, ২০২২ ১০:৩৯:০৫

ধর্ষণের শিকার তরুণী

ধর্ষণের শিকার তরুণী

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ আলোচিত লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলাধীন দহগ্রাম সিমান্তে অবৈধ ভাবে পারাপারের সময় ধর্ষণের স্বীকার লাকী বেগম নামে এক তরুণী।

পাটগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন লাকী বেগম(২২) নামের এক তরুণী। থানার এজাহার সূত্রে জানা যায় লাকি বেগম(২২) ডেমরা (রুকশি পাড়া), থানাঃ সাঁথিয়া, পাপনা জেলার মোঃ জাহের প্রামানিকের মেয়ে এবং সোহেলের স্ত্রী।

লাকি বেগমের পাটগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগের মতে জানা যায় তার নিজ স্বামীসহ নিম্নবর্ণিত আসামিগণ ভারতে পাচার করার নিমিত্তে ৪ নং আসামির বাড়ি পাটগ্রামে নিয়ে আসে।
 ১২/০৫/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখ পাটগ্রাম শহর থেকে ৩ নং আসামী মোঃ মোকছেদুল হক মোটরসাইকেলযোগে তিনবিঘা করিডোর পার হয়ে দহগ্রাম তার বাড়ির পিছনে নিয়ে বাদিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ইং ১৩/০৫/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ভোরে ২ ও ৩ নং আসামীদ্বয় বাদিনি কে দহগ্রাম সীমান্তের ভুট্টাক্ষেত পাড়ি দিয়ে ভারতে জনৈক গণেশের বাড়িতে রেখে আসে।

পরবর্তীতে গণেশ প্রাইভেটকারযোগে শিলিগুড়ি হয়ে কোলকাতায় পৌঁছে দেয়। সেখানে জনৈক সুকুমার নামক ব্যক্তি মামলার বাদীকে হোটেলে নিয়ে জানায় যে, তার স্বামী সোহেল দেহ ব্যবসা করার জন্য তাকে বিক্রি করেছে। উক্ত কথা শোনার পর ২ নং আসামীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে ২০ হাজার টাকা প্রদানের আশ্বাসে লাকী বেগম  ওই হোটেল থেকে পালিয়ে ইং ১৫/০৫/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখ পুনরায় কোলকাতা ও শিলিগুড়ি হয়ে গণেশের বাড়িতে ফিরে আসে।

 ১৭/০৫/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখ জনৈক গণেশ আসামি ফরিদুল ও ভুটুয়ার কাছে দহগ্রামে পৌঁছে দেয়। সেখান হতে ২নং আসামী ভুটুয়া মোটরসাইকেল যোগে ৪ নং আসামী চম্পার বাড়ি পাটগ্রামে নিয়ে আসে এবং উপরে বর্ণিত ২০ হাজার টাকা দাবি করে। বাদিনি বিভিন্ন চেষ্টা করেও টাকা দিতে না পারায় ঐ রাত্রি অনু ১১.৩০ ঘটিকায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ও আটক করে রাখে।লাকী বেগম কৌশলে সেখান হতে পালিয়ে এসে অদ্য ২০/০৫/২০২২ তারিখ পাটগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

৭। আসামী/অভিযুক্তের নাম ও ঠিকানাঃ ১) মোঃ সোহেল মিয়া (২৫), পিতা কিবরিয়া, সাং-বেতাপুর, থানা নবীগঞ্জ, জেলা হবিগঞ্জ। 
২। মোঃ আশরাফুল ইসলাম@ ভুটুয়া(৩৫), পিতা মৃত ওমর আলী, সাং দহগ্রাম (সরকারপাড়া),
৩। মোঃ মোকছেদুল হক (৩২), পিতা-মৃত ফজলুল হক, সাং দহগ্রাম (মুন্সিপাড়া),
৪। মোছাঃ চম্পা বেগম (৩৫), স্বামী মোঃ শফিক হোসেন, সাং- রসুলগঞ্জ (জুম্মাপাড়া),
৫। মোঃ ফরিদুল ইসলাম ফজুল ( ৩৩), পিতা-মৃত ঘুঘু মারা, সাং-দহগ্রাম (ফন্দুর বাড়ি), সর্ব থানা পাটগ্রাম জেলা লালমনিরহাট।

ইতিমধ্যে পাটগ্রাম থানা পুলিশ আসামী মোকছেদুল হক এবং চম্পা বেগম কে আটক করেছর, উল্লেখ যে আসামী মোকছেদুল হক গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দহগ্রাম ০৮ নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হন, মোকছেদুল হকের এমন জঘন্য কাজে ওয়ার্ডবাসীসহ ও দহগ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


প্রজন্মনিঊজ২৪/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ