কলেজ অধ্যক্ষের ফেসবুক স্ট্যাটাসে সমালোচনার ঝড়

প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২২ ১০:৩০:২৪

কলেজ অধ্যক্ষের ফেসবুক স্ট্যাটাসে সমালোচনার ঝড়

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ `কে এই সেকেন্দার আলী, সেকেন্দারটা কায় নতুন প্রতারক, সেকেন্দার আলীর বহিষ্কার চাই' ইত্যাদি স্ট্যাটাস আর নানা মন্তব্য এখন ফেসবুকে ভাইরাল। সম্প্রতি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম পৌর টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সেকেন্দার আলীর ফেসবুক স্ট্যাটাসকে ঘিরে নানা সমালোচনা উঠেছে ।

সোমবার (১৬ মে) সেকেন্দার আলীর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেছেন, 'পাটগ্রাম উপজেলায় প্রাইমারি পরীক্ষায় যে সকল প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে সেই সকল প্রার্থীদের পাটগ্রাম উপজেলার ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সেকেন্দার আলী, মোবাইল...... প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হলো। বি.দ্র. ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের সুপারিশ পত্রসহ।'

এই স্ট্যাটাস ঘিরে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন ওই অধ্যক্ষ। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত পোস্ট এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি চাকরি দেওয়ার নামে কৌশলে প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে অনেকের কাছ থেকে এই কৌশল ব্যবহার করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন বলে জানান। উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু পূর্ণ চন্দ্র রায় বলেন, যদি তিনি এ ধরনের পোস্ট দিয়ে থাকেন তাহলে তার কর্মের জবাব সেই দেবে। আর দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। আওয়ামী লীগের উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান নিলু বলেন, পোস্টটা মুছে ফেলার পর আমার ছবি কোনো ক্যাপসন ছাড়াই দেওয়ার পর অনেকে আমাকে ফোন দিয়ে কারণ জানতে চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছি।

তবে এবিষয়ে সেকেন্দার আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনোভাবে সাড়া পাওয়া না গেলেও ঘটনার তিনদিন পর তার আইডি হ্যাক হয়েছে দাবি করে দুঃখ প্রকাশ করে একই আইডিতে পোস্ট করেন। এদিকে তিনি শেষ পোস্টে আইডি উদ্ধারের যে তথ্য দিয়েছেন সেক্ষেত্রে তার আলোচিত প্রথম পোস্ট আইডি উদ্ধার হওয়ার আগেই কিভাবে মুছে গেলো তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, এর আগেও সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে দলীয় পদকে ব্যবহার করে, বিভিন্ন সময়ে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থে তার হস্তক্ষেপে, অনিয়ম, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, সম্প্রতি তার কলেজে শিক্ষার্থীদের সেশন ফি বাবদ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয় এই অধ্যক্ষ।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ