কয়েদিদের ঈদ উদযাপনে নানা আয়োজন

প্রকাশিত: ০৩ মে, ২০২২ ০৭:৪১:২১

কয়েদিদের ঈদ উদযাপনে নানা আয়োজন

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আত্মার পরিশুদ্ধি, ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সংহতি প্রকাশের এক উদার উৎসব। ঈদের এ দিনটি প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানোর জন্য কতোই না ভোগান্তি পেরিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যায় সব মানুষ। তবে কারাগারের বন্দিদের জন্য এদিনটা একটু ভিন্ন। এমন খুশির দিনেও যেহেতু তাদের স্বজনদের ছেড়ে থাকতে হয়, তাই প্রতিবছরই দুই ঈদে কারাবন্দিদের আনন্দ দিতে নানা আয়োজন করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। 

ঈদের দিন বন্দিদের যেন মন খারাপ না থাকে ও পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন না করতে পারার দুঃখ ভুলে থাকতে পারেন সেজন্য প্রতিবারই কারা কর্তৃপক্ষ এ আয়োজন করে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কারাগুলোতে বন্দিদের ঈদ উদযাপনে বিশেষ আয়োজনে উন্নত খাবার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের ঈদ উপহার সামগ্রী বন্দিদের মধ্যে বিতরণ ও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ মে) দেশের বিভিন্ন কারাগারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টায় কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের মাঠে ৯ হাজার বন্দি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তাদের সকালে পায়েস ও মুড়ি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও তারা ঈদের তিন বেলা উন্নত খাবার পাবেন।

করোনার কারণে গত দুই বছর কারাগারগুলোতে ঈদের জামাত বন্ধ ছিল। এমনকি স্বজনদের খাবার সরবরাহ নিষেধ করা হয়েছিল। এবার প্রকোপ কমে আসায় আবারও ঈদের জামাত চালু করা হয়েছে। সুযোগ দেওয়া হচ্ছে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার। তবে এবারও বাড়ির খাবার সরবরাহ বন্ধই থাকছে।

ঈদের দিন দুপুরে বন্দিদের জন্য কয়েক পদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়। আজ দুপুরে বন্দিরা খাবেন ভাত, গরু/খাসির মাংস, রুই মাছ ও আলুর দম।

এছাড়া ঈদের দিন শেষে রাতেও বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হবে। আজ রাতে বন্দিরা খাবেন পোলাও, গরুর/খাসির মাংস, রোস্ট, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস ও পান-সুপারি।

বন্দিদের ঈদ আনন্দের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারি চলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে অংশ নিয়েছেন বন্দিরা। আজ বন্দিদের জন্য ১৭টি গরু জবাই করা হয়েছে। দুপুরে ও রাতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে বন্দিদের জন্য।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার, নারী কারাগার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২ এ ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছিল। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বলেন, বন্দিদের সুস্বাদু ও উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। সকালে পায়েস ও মুড়ি, দুপুরে পোলাও-মাংস দেওয়া হয়েছে। বন্দিরা আজকে নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজব করে সময় কাটাচ্ছে। স্বজনরাও দেখা করতে আসছেন।

কাশিমপুর কারাগারে বন্দিদের জন্য ঈদের পোশাক পাঠিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসক। যা বন্দিদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।

প্রজন্ম নিউজ/নূর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ