রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ০৪:৩১:১৮

রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: রানা প্লাজার ভবন ধসে হতাহতদের পরিবারের এখনো পুনবার্সন হয়নি। কিন্তু ওই ঘটনায় বাবা-মা হারিয়েছেন, বিভিন্ন জেলার এমন ৫৬ জন শিশুর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে অরকা-হোমস্ (ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন)। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে আরকা হোমসে gvZ…‡¯œ‡n বেড়ে উঠছে তারা। তাদের লেখাপড়াসহ পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজিএমইএ’র সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটি শিশুদের লেখাপড়া ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

গাইবান্ধার অরকা-হোমস কার্যালয় সুত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর হোসেনপুর গ্রামে অরকা-হোমস স্থাপিত হয়। ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এসআইএম জাহান ইয়ারের প্রচেষ্টায় এটি গড়ে উঠে। প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট দুইটি এবং প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এখানে উন্নত পরিবেশে ৫৬ জন শিশু বসবাস করছে। এরমধ্যে ৩২ জন ছেলে ও ২৪ জন মেয়ে। ওই ঘটনার পর থেকে তারা এখানে বসবাস করছে। এসব শিশু লেখাপড়া করছে অরকা হোমস ক্যাম্পাসে অবস্থিত হোসেনপুর মুসলিম একাডেমিতে। একাডেমিতে প্লে থেকে দশম শ্রেণিতে রয়েছে। এই একাডেমিতে প্রায় ৪০০ জন ছাত্রছাত্রী ও ২০ শিক্ষক রয়েছেন।

গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দুরে হোসেনপুর গ্রাম। আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকৃতিঘেরা পরিবেশে অরকা হোমস কার্যালয়। ভিতরে আবাসিক ভবন, স্কুল, মসজিদ ও খেলার মাঠ। আবাসিকের ভিতরে পরিপাঠি কক্ষ। উন্নত পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা। বিছানা আসবাবপত্র উন্নত। শিশুরা কেউ পড়াশোনা করছে, কেউ খেলাধুলা করছে। সবার মধ্যে আনন্দ। শিশুরা জানায়, ঈদে সবাই বাড়ি যায়। তারা যেতে পারবে না, এতে তাদের দু:খ নেই। এখানেই তারা আনন্দে ঈদ উদযাপন করবে।

অরকা হোমসে মাতৃ¯েœহে বেড়ে উঠা রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার খেয়াডাঙ্গা গ্রামের সাগরিকা মিম জানায়, ভবন ধসে সে মা জাহানারাকে হারিয়েছে। বাবা দুখু মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করে তাকে ভরনপোষণ দিচ্ছিল না। তিনবছর ধরে এখানে ভাল আছে। সে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। লেখাপড়া শিখে সে প্রকৌশলী হবে। একই জেলার পীরগাছা উপজেলার অভিরাম গ্রামের আল-আমিন জানায়, ভবন ধসে তার মা ফাতেমা মারা যান। এরআগেই বাবা মারা যান। তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় এখানে এসেছে। এখন সে দশম শ্রেণির ছাত্র। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মারমা গ্রামের স্বপন ইসলাম জানায়, ভবন ধসে মাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে সে। অরকা হোমস তার থাকা খাওয়া ও লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে। সাতবছর ধরে অরকা হোমসে সে ভালো আছে। এখন দশম শ্রেণিতে পড়ছে। সে ভবিষ্যতে চাকরি করবে।

অরকা হোমস এর তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত মিল্লাত মন্ডল বলেন, শিশুরা যেন বাবা-মার gvZ…‡¯œ‡n পায়, সেজন্য খেলাধুলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত আরেকজন নুরজাহান বেগম বলেন, মেয়েদের পৃথক ভবনে রেখে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হয়ে থাকে। অরকা হোমস পরিচালক জাহেদুল ইসলাম বলেন, সাতজন কর্মকর্তা কর্মচারি শিশুদের তদারকি করছেন। এখানে বসবাসকারি শিশুদের লেখাপড়া শেষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, দুইজন চিকিৎসক সপ্তাহে দুইদিন এখানে এসে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। এসবের পাশাপাশি অরকা শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রভৃতি সামাজিক কাজ করে থাকে।

এসব বিষয়ে এই কর্মযঞ্জের মুল উদ্যোক্তা জাহান ইয়ার জানান, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই এই কর্মসুচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ভভিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়বে।   


প্রজন্মনিউজ২৪/মনিরুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ