সৌদি আরবে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ, ২০২২ ০৪:২৭:০৫

সৌদি আরবে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

৫১তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রিয়াদ, সৌদি আরব নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করা ও মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস এবং জাতির পিতার জীবনী থেকে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নাগরিক সৃষ্টি করাই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল।

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সরোয়ার জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম, এসিস্ট্যান্ট ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার গোফরান ও কালচারাল ডাইরেক্টর সফিকুল সিরাজুল হক। এছাড়া অভিভাবক ও উপকমিটির সদস্য আবুল হাসনাত, মোসলে উদ্দিন মুন্না, মোহাম্মদ সোহাইব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাহা অথৈ ও মাঈশা ফাহমিদার যৌথ সঞ্চালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত ও তরজমা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাহদ আহমেদ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইয়ান মোহাম্মদ মোস্তাক, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী দোলন শেখ ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাতেমা জান্নাত লোবাবা। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানতাশা বিনতে ইকবাল ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন নাজনীন আক্তার।

স্বাগত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সরোয়ার জামান আমাদের স্বাধীনতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্রের আলোকে স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সকল দুঃসময়ে তার সহযোগিতা পেয়ে প্রবাসের বুকে শত প্রতিকূলতার মাঝে দৃপ্ত এই বিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধান অতিথি মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদ তার বক্তব্যের শুরুতেই ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে দেশকে হানাদার মুক্ত করার লক্ষ্যে অস্ত্র হাতে যার প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং অসামান্য অবদানের কথা বিশদভাবে তুলে ধরেন। আমরা ইতোমধ্যে অনেক সূর্যসন্তানদের হারিয়েছি, যারা আমাদের একটি সুন্দর দেশ উপহার দিতে গিয়ে সেদিন অস্ত্র হাতে জীবন বাজি রেখেছিলেন।

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম দিয়ে তিনি ধীরে ধীরে আমাদের জাতীয় নেতার আসন অলঙ্কৃত করেন এবং ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ডাক দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তির সংগ্রামে শামিল করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তিনি তার বক্তব্যে গুরুত্ব আরোপ করেন- দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন খেলায় দেশ-বিদেশে জাতীয় পতাকা নিয়ে আনন্দ উৎসব করি; কিন্তু জাতীয় পতাকায় লাল বৃত্তের প্রতিচ্ছবি প্রায় অবিকৃত থাকলেও সবুজ ক্যানভাসে প্রায় ক্ষেত্রে রঙের তারতম্য দেখা যায়, সেই অভিন্ন রাষ্ট্রীয় পতাকা ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পরে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি এবং জাতির পিতাসহ সব শহিদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।  


প্রজন্মনিউজ২৪/সুইট

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ