আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ক্ষমতায় থাকা কালে তাঁর ছেলেকে যে স্কুলে র্ভতি করেছিলেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন ও নিবেদনমূলক এই ঐতিহাসিক চিঠিটি লিখেন।
মাননীয় মহাশয়,
আমার পুত্রকে জ্ঞার্নাজনের জন্য আপনার কাছে প্রেরণ করলাম। তাকে আর্দশ মানুষ
হিসেবে গড়ে তুলবেন – এটাই
আপনার কাছে আমার বিশেষ
দাবী। আমার পুত্রকে অবশ্যই
শেখাবেন সব মানুষই ন্যায়পরায়ন
নয়, সব মানুষই সত্যনিষ্ট নয়।
তাকে এও শেখাবেন – প্রত্যেক
বদমায়েশের মাঝেও একজন বীর
থাকতে পারে, প্রত্যেক
র্স্বাথপর রাজনীতিকের
মাঝেও একজন নিঃর্স্বাথ
নেতা থাকে। পাঁচটি ডলার
কুড়িয়ে পাওয়ার
চেয়ে একটি উর্পাজিত ডলার
অনেক বেশি মূল্যবান। এও
তাকে শেখাবেন
কিভাবে পরাজয়কে মেনে নিতে হয়
এবং কিভাবে বিজয়োল্লাস
উপভোগ করতে হয়।
হিংসা থেকে দূরে থাকার
শিক্ষা দিবেন। যদি পারেন
নীরব হাসির গোপন সৌর্ন্দয
তাকে শেখাবেন। সে যেন
আগেভাগে বুঝতে শিখে যে –
যারা নিপীড়নকারী তাদেরকে সহজেই
কাবু করা যায়। বইয়ের মাঝে কি রহস্য
লুকিয়ে আছে তাও তাকে শেখাবেন।
আমার পুত্রকে শেখাবেন-
বিদ্যালয়ে নকল করার
চেয়ে অকৃতর্কায হওয়া অনেক
বেশি সম্মানজনক। নিজের উপর
তার যেন সুমহান আস্থা থাকে –
এমনকি সবাই যদি তা ভুলও
মনে করে। তাকে শেখাবেন-
ভদ্র লোকের প্রতি ভদ্র আচরণ
করতে। কঠোরদের প্রতি কঠোর
হতে। আমার পুত্র যেন এ
শক্তি পায় যে, হুজুগে মাতাল
জনতার পদাঙ্ক সত্যের র্পদায়
ছেঁকে ভালটাই যেন শুধু গ্রহণ
করতে তাকে শেখাবেন।
সে যেন শেখে – দুঃখের
মাঝে কিভাবে হাসতে হয়।
আবার কান্নার মাঝে লজ্জা নেই একথাও
তাকে বুঝতে শেখাবেন।
যারা নির্দয়-নির্মম তাদেরকে যেন
ঘৃণা করতে শেখে আর আরাম
আয়েশ থেকে সাবধান থাকে।
আমার পুত্রের প্রতি সদয় আচরণ
করবেন – কিন্তু সোহাগ করবেন
না – কেননা আগুনে পুড়েই
ইস্পাত খাঁটি হয়। আমার
সন্তানের যেন অধৈর্য হওয়ার
সাহস না থাকে। থাকে যেন
তার সাহসী হওয়ার ধৈর্য।
তাকে এও শেখাবেন যে,
নিজের প্রতি যেন তার সুমহান
আস্থা থাকে। আর তখনই তার সুমহান
আস্থা থাকবে মানবজাতির প্রতি।
ইতি
আব্রাহাম লিংকন
প্রজন্মনিউজ২৪/এস ইউ