রাজশাহীর ২০০ কলেজে আন্দোলনের নামে চাঁদা চেয়ে চিঠি

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী, ২০২২ ০১:১৪:১৪

রাজশাহীর ২০০ কলেজে আন্দোলনের নামে চাঁদা চেয়ে চিঠি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির (বাকশিস) জেলা শাখার নেতারা। সম্প্রতি তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাজশাহীর দুই শতাধিক কলেজে চাঁদা আদায়ের চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক ও সহকারী পরিচালকের দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্য সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। পরে বাকশিস জেলা ও মহানগরের যৌথ সভায় তাঁদের প্রত্যাহার ও তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কলেজপ্রতি এক হাজার টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন এবং সহকারী পরিচালক (কলেজ) ড. আবু রেজা আজাদ।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক শিক্ষকই তাঁদের এমপিওভুক্তি, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজশাহী বাকশিসের কাছে ধরণা দেন। বাকশিসের নেতৃত্বস্থানীয়রা তখন এসব আবেদন ও তাঁদের অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আসেন। যথার্থতা, যৌক্তিকতা ও তথ্যগত দিক বিবেচনায় সেগুলো অনুমোদন করা হয়। অন্যথায় তা অনুমোদন দেওয়া হয় না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা।

এ নিয়ে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ রাজশাহী জেলার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল বলেন, এভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করাটা বিধিবহির্ভূত।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক (কলেজ) ড. আবু রেজা আজাদ বলেন, ‘তাঁরা প্রায়ই বিধিবহির্ভূত আবেদন অনুমোদনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে থাকেন। এখন তাঁরা আমাদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন। ’ আন্দোলনের নাম করে তারা (বাকশিস) কলেজগুলোতে চিঠি দিয়ে উল্টো চাঁদাবাজি করছে বলে দাবি করেন তিনি।

রাজশাহী জেলা বাকশিসের সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘আমরা বিনা রসিদে কোনো টাকা আদায় করি না। বার্ষিক সভায় এসব আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব দেখানো হয়।


প্রজন্মনিউজ২৪/আল-নোমান 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ