দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ধরাশয়ী ভারত..

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী, ২০২২ ০১:৩১:৩১

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ধরাশয়ী ভারত..

 

স্টাফ রিপোর্টার: টেস্ট সিরিজের মতো করে ওয়ানডে সিরিজটা শুরু করতে পারলোনা ভারত। টেস্ট সিরিজটা জয় দিয়ে শুরু করলেও ওয়ানেডে সিরিজ শুরু করলো হার দিয়ে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক ক্যাপ্টেন টেম্বা বাভুমা ও রাসি ফন ডার ডুসেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে টেম্বা বাভুমা ও রাসি ফন ডার ডুসেনের ২০৪ রানের পার্টনারশিপই জয়ের ভিত গড়ে দেয় প্রোটিয়াদের। শুরুতে একটু অগোছালোই মনে হয়েছিল প্রোটিয়াদের। ৬৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন ক্যাপ্টেন বাভুমা। বাভুমাকে দারূণ ভাবে সঙ্গ দিয়ে গেছেন ডুসেন। শতকের দেখা পেয়েছেন দুজনই। বাভুমা দেখেশুনে খেললেও ফন ডার ডুসেন ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। 

তা যিনি যে ঢঙেই ব্যাট করুন না কেন, এ দুজনের জোড়া শতকেই জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমা ১৪৩ বলে ১১০ রান করলেও ফন ডার ডুসেন ৯৬ বলে ১২৯ রানে ছিলেন অপরাজিত। ডুসেন তার ইনিংসে ৯টি চারের পাশাপাশি ছয় মেরেছেন ৪টি। শেষপর্যন্ত ৪ উইকেটে ২৯৬ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ মুহূর্তে ভারতীয় বোলাররা কোন চাপই সৃষ্টি করতে পারেনি প্রোটিয়াদের উপর। 

দক্ষিণ আফ্রিকার ২৯৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ২৬৪ রানে। রান তাড়া করতে নেমে ৪৬ রানে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে হারালেও পথেই ছিল ভারতের ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯২ রান তুলে জয়ের স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। 

বিরাট কোহলি আর শিখর ধাওয়ান যতক্ষণ খেলছিলেন মনে হচ্ছিল ম্যাচটা জিততেও পারে ভারত।

কিন্তু ৮৪ বলে ৭৯ রান করে ধাওয়ান আউট হয়ে গেলে ভাঙে জুটি। ধাওয়ানের আউটের সময়ও ভারতের তেমন দুশ্চিন্তারও কিছু ছিল না, ২৫.৩ ওভারে তাদের রান তখন ২ উইকেটে ১৩৮। কিন্তু দুর্দান্ত ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যেভাবে বাভুমা ও ফন ডার ডুসেন বিপদ থেকে বের করে এনেছেন, ভারতের ইনিংস সেভাবে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি বিরাট কোহলি।

ধাওয়ান আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ১৪ রান উঠতেই আউট হয়ে ফিরে যান কোহলি। তাবরাইজ শামসির বলে বাভুমাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে অবশ্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬৩তম অর্ধশক পেয়েছেন তিনি। 

এরপর ১৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারালে জয়ের আশা ম্লান হয়ে যায় ভারতের। ৩ উইকেটে ১৮১ থেকে দ্রুতই ৭ উইকেটে ১৯৯ হয়ে যায় ভারতের স্কোর। তারপর শার্দূল ঠাকুরের ৪৩ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসটি শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আন্দিলে ফিকোয়াও, শামসি ও লুঙ্গি এনগিডি।

ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে হার্দিক পান্ডিয়ার বিকল্প হিসেবে তৈরি করতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি 
আয়ার। ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ২ রান।

তবে সব ছাপিয়ে সবার নজর ছিল ভিরাট কোহলির দিকে। কারণ ওয়ানডে ক্যাপ্টেনসি থেকে ভিরাটকে সরিয়ে নতুন ক্যাপ্টেন নিয়োগ দিয়েছে বিসিসিআই। তাই নতুন ক্যাপ্টেনের অধীনে মাঠের ভিতর ভিরাটের আচরণ কেমন হবে সেটার উপরই নজর ছিল সবার। 

তবে ভিরাট কোহলির হাফসেঞ্চুরির পর কি খুব তৃপ্ত দেখাচ্ছিল তাকে? না, একদমই না। বরং তাকে দেখে মনে হয়েছে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। মনে হচ্ছিল, অধিনায়কত্ব ছাড়লেও, দায়িত্ব থেকে ছুটি নেননি তিনি। ৫১ রানের ইনিংস দিয়ে হয়তো ভিরাটকে মাপা যাবে না। বলা যাবে না তিনি রানে ফিরলেন। 

তবে মাঠে ভিতর দেখা গেল না তার চিরচেনা সেই আগ্রাসন। পার্ল বরং দেখল শান্ত এক বিদায়ী ক্যাপ্টেনকে। তার পরিবর্তে যিনি অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাপ্টেন হিসেবে ওয়ানডেতে আত্মপ্রকাশ করলেন, সেই লোকেশ রাহুল জেতাতে পারলেন না ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা হার দিয়েই করল ভারত।


প্রজন্মনিউজ২৪/মিঠুন হাসান


 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ