দিনাজপুরে চাষ হচ্ছে মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন

প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী, ২০২২ ০৪:২১:২১

দিনাজপুরে চাষ হচ্ছে মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন

বিদেশি ফল ড্রাগনের পর এবার বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন। এতে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার চাষি মতিউর মান্নান দু’বছর আগে গাজীপুর থেকে পাঁচজাতের নয়শত চারা এনে চার বিঘা পতিত জমিতে ত্বীন ফলের চাষ শুরু করেন। নিজে কলম চারা তৈরির মাধ্যমে এখন তার ত্বীন বাগান ছয় বিঘায় সম্প্রসারিত হয়েছে। ত্বীন চাষে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে, কৃষি বিভাগ।

বাণিজ্যিকভাবে এক হাজার টাকা কেজি দরে শুধু ফল বিক্রিই নয়, নিজেই ত্বীনের কলম চারা তৈরি করে বিক্রি করছেন মতিউর মান্নান। এই ফলটি বেশ সুস্বাদু, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল। ডুমুর আকৃতির অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি এই ফল দৃষ্টি কেড়েছে, অসংখ্য মানুষের। ত্বীন বাগান দেখতে, চাষ পদ্ধতি জানতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন এ অঞ্চলে।

প্রথমে গত দু’বছর আগে গাজিপুর থেকে ৫ জাতের ৯’শ চারা এনে চার বিঘা পতিত জমিতে ত্বীণ ফলের চাষ শুরু করেন তিনি। নিজে কলম চারা তৈরির মাধ্যমে এখন তার ত্বীন বাগান  ছয় বিঘায় সম্প্রসারণ হয়েছে। ফল বিক্রি করে প্রচুর লাভবান তিনি।

মতিউর মান্নান জানান, মৌসুমের শুরুতেই প্রায় ১০ লাখ টাকার ত্বীন ফল বিক্রি করেছি। তৈরিকৃত কলম চারাও বিক্রি করছি। বেশ লাভ আছে, এ ফল চাষে। ইচ্ছে আছে,আরো কিছু জমিতে নতুন করে ত্বীন বাগান করবো।

চট্টগ্রাম থেকে ত্বীন বাগান দেখতে আসা মোস্তাকিম জানান, তিনি বেশ উৎসাহ পেয়েছেন, এ বাগান দেখে বাগান করার। ভাবছেন, তিনিও ত্বীনের বাগান করবেন।

দিনাজপুর শহর থেকে ত্বীন বাগান দেখতে আসা একরামুল হক ভোলা জানালেন, তিনি মূলতঃ চাষ পদ্ধতির কলা-কৌশল জানতেই বাগানে এসেছেন। বাগান করবেন বলেও জানালেন।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানালেন,বাণিজ্যিকভাবে এক হাজার টাকা কেজি দরে শুধু ফল বিক্রি নয়, নিজেই ত্বীনের কলম চারা তৈরি ও বিক্রি করছেন মতিউর মান্নান। তাই অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি এই ত্বীন ফলের বাগান করতে অনেকে আগ্রহী হয়েছেন।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ