প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০২:১৬:১৮
নোয়াখালী প্রতিনিধি: ৩ সন্তান নিয়ে এখন যাবে কোথায় নোয়াখালীর কোহিনুর বেগম? খেয়ে না খেয়ে অর্থাভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি । অবশেষে ভিটে বাড়ি ছাড়া হচ্ছেন কোহিনুর। তার পাশাপাশি টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার সন্তান হিফজ বিভাগের ছাত্র সাইফুল ইসলামের পড়ালেখা ।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চাপরাশি বাড়ীর শহীদ উল্লার পুত্র রিকশা চালক মনির হোসেনের সাথে পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা গ্রামের রিকশা চালক আবুল খায়েরের মেয়ে কোহিনুর বেগমের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে।
বিয়ের সময় রিকশা ক্রয় করার জন্য বাবা আবুল খায়ের জামাইকে ত্রিশ হাজার টাকা দেয়। এ টাকা দিয়ে রিকশা ক্রয় করে। দিন ভর রিকশা চালিয়ে মনির কোন প্রকার সংসার পরিচালনা করে আসছিল। এরই মাঝে তাদের ৩ সন্তান জম্ম নেয়।
বর্তমানে প্রথম সন্তান সাইফুল ইসলাম (৯), দ্বিতীয় মরিয়ম (৬) এবং তৃতীয় কাউসার হোসেন (৪)। মরিয়ম বজরা নুরানী মাদ্রাসায় পড়ে। কহিনুর-মনির দম্পতির প্রথম সন্তান সাইফুল ইসলাম (৯) সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইসলামীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। সে বর্তমানে পবিত্র কুরআন মজিদের ২২ পারার হাফিজি অধ্যয়নরত অবস্থায় আছে।
এরই মাঝে ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে মনির হোসেন কান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মনির হোসেনসহ তারা তিন ভাই ও মা বাবা বসবাস করতেন আধা শতাংশের ছোট একটি ঘরে। ৪টি চৌকি রাখার মত জায়গা নেই। তিনটি চৌকিতেই ৪টি পরিবার বসবার করতো।
মনির হোসেন মৃত্যুর পর তার বাবা মনিরের বিয়ের সময় কহিনুরের বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যাবার জন্য চাপ সৃস্টি করে কহিনুর কে। কিন্তু ৩ সন্তান নিয়ে কোথায় যাবে এ অসহায় নারী। এ নিয়ে একটি সালিশী বৈঠক বসে।
উক্ত বৈঠকে কোহিনুরকে ১ বছরের মধ্যে ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য সময় বেধেঁ দেয়। কিন্তু প্রায় ১ বছর ঘনিয়ে আসলে ও কোহিনুর কোন কিছুই করতে পারেননি। সময় পার হওয়ায় আগেই তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘর ছাড়তে হবে বলে মনিরের বাবা আগাম নোটিশ দিচ্ছে। অন্যদিকে বিপদ পিছু ছাড়ছেনা কহিনুরের।
এক সময় বিভিন্ন স্থানে জিয়ের কাজ করে ২ বেলা ২ মুঠো ভাত খেয়ে জীবন যাপন করছিলেন সন্তানদেরকে নিয়ে তিনি। কিন্তু সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট ( অ্যাজমা ) রোগে আক্রান্ত হয় কোহিনুর। এতে কাজ করতে পারছিলেন না তিনি। বর্তমানে ২ বেলা ২ মুঠো ভাত জোগাড় করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে প্রতিমাসে ছেলের জন্য ২ হাজার টাকা দিতে হয় হিফজ পড়া ও বোর্ডিং খরচ। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছেলের হিফজ পড়া। কোমলমতি তিন শিশু ও অসহায় নারী তাকিয়ে আছে দেশের মানুষের দিকে। বাসস্থান ও সন্তানদের লেখা পড়ার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন কি স্বদয়বান ব্যক্তিরা ।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-
বিকাশ নম্বর কহিনুর বেগম- ০১৮৬২২৯১৬৪৭
ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
আলী হোসেন সেভিং একাউন্ট নম্বর ২০৫০৭৭৭০২৪৫৫৭৬৭০৫
এজেন্ট ব্যাংকিং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড নোয়াখালী
প্রজন্মনিউজ২৪/এন হাসান
গাইবান্ধায় অচেনা প্রানীর আক্রমনে ৪০ জন আহত
যুক্তরাষ্ট্রে পুত্রসন্তানের মা হলেন মারিয়া
পথশিশুকে বিয়ে দিল গান্ধি আশ্রম ট্রাস্ট
অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
বিটার অরেঞ্জ ট্রি - বাড়ি থেকে অনেক দূরে একটি জীবন
মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বহিস্কার ও বিচার দাবি
ফিলিপাইন কংগ্রেস মার্কোসকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে