প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০১:০১:৪৯
হাবিবুর রহমান,চরফ্যাশন(ভোলা)প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনের ঢালচরের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ২১ জেলে নিয়ে ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি মামলা হয়েছে। গেল মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন ট্রলার থেকে উদ্ধার হয়ে ফিরে আসা জেলে মো. হাফেজ। সে ট্রলার মালিক কামাল খন্দকারের ভাই।
দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলটি মিজাকালু নৌ পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে হাফেজ জানান, গত ৩ ডিসেম্বর তার বড় ভাই কামাল খন্দকারের মালিকানাধীন 'মা শামসুন্নাহার' নামের মাছ ধরার ট্রলারটি নিয়ে সে সহ ২১ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। ৫ ডিসেম্বর রোববার রাতে সাগরের অবস্থা খারাপ দেখে কিনারে ফিরার পথে ঢালচর থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরে চট্টগ্রামের এফ ভি এস আর এল ৫ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলিং জাহাজ বেপরোয়া চালিয়ে তাদের ট্রলারকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি ডুবে যায়। সাগরে ভাসমান অবস্থায় পরের দিন বরগুনার পাথরঘাটা একটি মাছ ধরার ট্রলার তাকে উদ্ধার করে নিদ্রা চকিনা চরের ফকির হাট বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করলে সামান্য সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে যোগাযোগ করে বাড়ি আসেন। বাকি ২০ জেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়েছে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- বাচ্ছু মাঝি, আলামিন মাঝি, ফারুক হাওলাদার, জাবেদ, খালেক, ইউছুফ মৌলভী, জসিম জমাদার, রফিক, মাসুদ, বাচ্চু, হারুন মেস্তরী, নুরুল ইসলাম, নুরে আলম, আবুল বাসার, সুমন, সাহিন, দিন ইসলাম, নাগর মাঝি, মো. আলী, মিজান। এসব নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান না পেয়ে তাদের পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
এদিকে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে বুধবারও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছেন। তবে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার করতে পারেননি। চর মানিকা কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ জানান, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ কোন জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সামছুন্নাহার ট্রলার মালিক কামাল খন্দকার বলেন, আজকে ৩ দিন আমার ট্রলার টি চট্টগ্রামের একটি জাহাজ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ডুবন্ত মানুষগুলো কে তারা উদ্ধার না করে তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে চলে যায়। তাদের কে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ড জেলেদের কে উদ্ধার করার জন্য অনুরোধ করছি। আমি সরকারের কাছে এই ২০ জেলে পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি পুরন করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, নিখোঁজ জেলেদের ১জন ছাড়া আর কোন জেলেকে উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। প্রশাসন এখনও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান বলেন, ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোষ্টগার্ড।
প্রজন্মনিউজ২৪/মুজাহিদ
সালাম মুর্শেদির গুলশানের বাড়ি সরকারের নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ
২০২৩ সালে বায়ুদূষণে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে ২৬% পরিবার
গাজায় দুর্ভিক্ষ-অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে তিন লাখ ফিলিস্তিনি
দেওয়ানগঞ্জে মেয়র এর নির্দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ
রাবি ভর্তি পরীক্ষায় 'কম নম্বর দেওয়ার' অভিযোগ ভিত্তিহীন; সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক
সমুদ্রে ভাসমান অদ্ভুত এক রেস্তোরাঁ!