প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৭:২৯:২৪
শহীদুল ইসলাম: গত শুক্রবার ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে,করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন ৩৮ দেশে শনাক্ত হয়েছে। আমাদের পাশের দেশ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতেও এটা শনাক্ত হয়েছে।তবে এ পর্যন্ত এই নতুন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। গতকাল শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এসব তথ্য জানিয়েছে। ব্যাপকভাবে জিনগত রূপ পরিবর্তনে সক্ষম এই ধরনের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
প্যারিস ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপির এই খবর দিয়েছে।
সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে অমিক্রনে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। অমিক্রনের প্রকোপে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোট আক্রান্ত ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, অমিক্রন ধরনের সংক্রমণে এখনো কোনো মৃত্যুর কথা তারা জানতে পারেনি। তবে নতুন এই ধরন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় সব দেশকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপে মোট কোভিড সংক্রমণের অর্ধেকই হতে পারে অমিক্রনের কারণে।
অমিক্রন নিয়ে প্রাথমিক একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। সেখানে দেখা গেছে, ডেলটা ও বেটা ধরনের তুলনায় অমিক্রনের পুনরায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা তিন গুণ বেশি। এ ছাড়া আগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা অমিক্রনের রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা গতকাল বলেন, ডেলটার মতো নতুন এ ধরনও বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের গতি কমবে।
রেডক্রসের প্রধান ফ্রান্সেসকা রোকা বলছেন, বিশ্বব্যাপী টিকাদানের হারে বৈষম্যের কারণে কত বড় বিপদ আসতে পারে, অমিক্রনের সংক্রমণ তার প্রমাণ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শিশুদের মধ্যে অমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। দেশটির চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির হার ঊর্ধ্বমুখী। তবে তারা বলছেন, কম বয়সীদের ক্ষেত্রে যে ঝুঁকি বেশি, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের একটি ল্যাব থেকে সূত্রপাত হয় করোনা ভাইরাসের । আমাদের দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনারোগি শনাক্ত হয় । ১৭ মার্চ একজনের মৃত্যু হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে দেয়া হয় লকডাউন।স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে যায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা ।
চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসলে আবারও আসে লকডাউন। লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ উঠেছিল । দেশে এমনিতেই বেকারত্ব বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার ধারাবহিকতায় করোনাজনিত লকডাউন মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। আল্লাহ না করুন অমিক্রন সংক্রমন আমাদের দেশেও ধাওয়া করলে পরিস্থিতি কি দাড়াতে পারে তা নিয়ে শঙ্কার কোন শেষ নেই।
আমাদের দেশে এ পর্যন্ত করোনয় মারা গেছে সরকারি হিসেবমতে প্রায় ২৮ হাজার। সারা বিশ্বে মারা যাওয়ার সংখ্যা কোট ছুই ছুই করছে।
সারা বিশ্বের ন্যয় চাকরি বা কর্ম হারানো মানুষের মিছিল ভারি থেকে ভারি হচ্ছে।দীর্ঘ দেড় বছর পর সবেমাত্র খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এখন যদি অমিক্রম ধেয়ে আসে আবার বন্ধ হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আসতে পারে লকডাউন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে আভাসও দিয়েছেন।আল্লাহর কাছ পানাহ চাই যেন এই গজব থেকে আমাদেরকে হেফাজত করেন।
মুস্তাফিজকে কেন পুরো আইপিএল খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ
মাদক ব্যবসার মূল হোতা সোর্স শহীদ ধরা ছোঁয়ার বাইরে
মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা নিয়ে দুই বোর্ড পরিচালকের ভিন্ন মত
জৌলুশ হারাচ্ছে বাংলা নববর্ষের হালখাতা
গরমে অতিষ্ঠ খুলনাবাসী; প্রয়োজন ছাড়া বের হন না কেউ
ঝালকাঠিতে ট্রাক- প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১১
মধ্যপ্রাচ্যে ১৩০ হামলা ঠেকাতে শত কোটি ডলার ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের
টেকনাফের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নুরুল আলম মোজাহিদের হাতে সাংবাদিকতার কার্ড