সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর তেলআবিব

প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৪:৫৮:৫৩ || পরিবর্তিত: ০১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৪:৫৮:৫৩

সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর তেলআবিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ইসরায়েলের তেল আবিব। এক বছরে পাঁচ ধাপ এগিয়ে প্রথমবার শীর্ষে উঠে এসেছে এ শহরটি। দ্বিতীয়স্থানে যৌথভাবে রয়েছে সিঙ্গাপুর সিটি ও ফ্রান্সের প্যারিস। আর জীবনযাপনের ব্যয় সবচেয়ে কম সিরিয়ার দামেস্কে। জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, প্রথমবারের ইআইইউর ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এল তেল আবিব। মার্কিন ডলারে বিশ্বের ১৭৩টি শহরে পণ্য ও সেবার মূল্যমান বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বজুড়ে জীবনযাপনের ব্যয়ের এই সূচক তৈরি করেছে ইআইইউ। ডলারের বিপরীতে ইসরায়েলের মুদ্রা শেকেলের মূল্য কমে যাওয়ার সঙ্গে পরিবহনের খরচ বৃদ্ধি ও মুদিদোকানে পাওয়া যায় এমন দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শীর্ষ ওঠে তেল আবিব।

তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে প্যারিস ও সিঙ্গাপুর। এরপর রয়েছে চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং ও সুইজারল্যান্ডের জুরিখ। তালিকায় নিউইয়র্কের অবস্থান ষষ্ঠ। সুইজারল্যান্ডের আরেক শহর জেনেভা সপ্তম স্থানে রয়েছে। এরপর শীর্ষ দশে থাকা অন্য শহরগুলো হলো যথাক্রমে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস ও জাপানের ওসাকা।

গত বছর ইআইইউর তালিকায় যৌথভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল তিন শহর ছিল প্যারিস, জুরিখ ও হংকং। তালিকায় এগিয়েছে ইরানের রাজধানী তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে খরচ বেড়ে যাওয়া ও পণ্যের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় শহরটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এ কারণে একলাফে ৫০ ধাপ এগিয়ে ২৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে তেহরান। গত বছর ২৭ ধাপ এগিয়ে ৭৯তম অবস্থানে উঠে এসেছিল এই শহরটি।

চলতি বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে সংগ্রহ করা তথ্য দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ সময়ে জলপথে মালামাল পরিবহনের খরচ ও পণ্যের দাম বেড়েছে। দেখা গেছে, দেশে দেশে স্থানীয় মুদ্রার ক্ষেত্রে গড় দাম ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বে দ্রুততম মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড হয়েছে এবার।

ইআইইউ’র প্রধান উপাসনা দত্ত বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সামাজিক কার্যক্রমের ওপর দেওয়া বিধিনিষেধে বিশ্বজুড়ে পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। এর কারণে পণ্যের ঘাটতির সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এবারের সূচকে আমরা স্পষ্ট এর প্রভাব দেখতে পাচ্ছি।’

প্রজন্মনিউজ২৪/এন হাসান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ