গোপালগঞ্জে বশেমুরবিপ্রবি ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর, ২০২১ ০২:৩৫:৫৫

গোপালগঞ্জে বশেমুরবিপ্রবি ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

শাহ মো জহরুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর করা হয়।

সংঘর্ষে শিক্ষক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ৩ শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোববার (২১ নভেম্বর) রাত ৯টা থেকে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। রাত পৌনে ১২টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টায় মেডিকেল ক্যাম্পাসের ভিতরের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলায় মেডিকেলের অধ্যক্ষ এতে বাধা দেয় এবং শিক্ষার্থীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগ আনেন। শিক্ষার্থীরা মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

ঘটনার এক পর্যায়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা শুরু করে। হামলার জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এতে কয়েক দফা সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় উভয় পক্ষের হামলায় সদর থানার ওসি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক, কর্তব্যরত সাংবাদিক সহ অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূচনা হয়। মেডিকেল কলেজের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে থাকে। এ সময়ে মাঠের পাশ দিয়ে ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নানা মন্তব্য করে। যে কারণে উক্ত মাঠে ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ের ঘটনা অস্বীকার করে জানান, মাঠে খেলা বন্ধ করার জন্য এ ঘটনা সাজানো হয়েছে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও থানার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সোমবার ডিসি অফিসে বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং মেডিকেল কলেজ প্রশাসন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেডিকেল কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ