কোটালীপাড়ায় মন্দিরের প্রতিমায় আগুন

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৩৭:২৮

কোটালীপাড়ায় মন্দিরের প্রতিমায় আগুন

কোটালীপাড়া প্রতিনিধি:-গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় একটি মন্দিরের দুর্গা প্রতিমায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে দূর্বৃত্তরা এ আগুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরদিকে ধুপকাঠি থেকে আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের কাঠিগ্রাম সার্বজনীন কালী ও দুর্গা মন্দিরে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় আজ শনিবার ভোরে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা পিপিএম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, ওসি মোঃ আমিনুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এছাড়াও উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মন্দির চত্ত্বরে উপজেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্দির কমিটির সভাপতি রনদা প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পৌর মেয়র হাজী মোঃ কামাল হোসেন শেখ, পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোটালীপাড়া শাখার  সভাপতি কার্ত্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন। 

বক্তারা বলেন, যে কোন মূল্যেই হোক কোটালীপাড়া উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা হবে। 

অপরদিকে এ ঘটনায় ঘটনাস্থলসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।  

মন্দির কমিটির সভাপতি রনদা প্রসাদ মজুমদার বলেন, আমাদের এই মন্দিরে প্রতি বুধবার দিবাগত রাতে হরিসভা ও শুক্রবার দিবাগত রাতে গনেশ পাগলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সে অনুযায়ী আমরা শুক্রবার রাতে এই মন্দিরে গনেশ পাগলের সভা করি। রাত ১টায় আমরা সভা শেষ করে মন্দিরের তালা মেরে সকলে চলে যাই। ভোরে শিখা রানী বাড়ৈ নামে এক মহিলা মন্দিরে প্রণাম দিতে গিয়ে আগুন দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। আমরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলি। আমাদের ধারণা দূর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। 

শিখা রানী বাড়ৈ বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো ভোরে মাকে প্রণাম করতে আসি। এসে দেখি দুর্গা মায়ের প্রতিমাটি পড়ে আসে এবং ওখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সাথে সাথে আমি এলাকাবাসীকে খবর দেই। 

পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার বলেন, এই মন্দিরে প্রায় শত বছর ধরে দুর্গা পূজা হয়। এখানে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে। এদের মাঝে কোন বিরোধ নেই। আমি চাই প্রশাসন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন করুক। 

কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ধারনা করা হচ্ছে মন্দিরের ধুপকাঠি থেকে এ আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। তদন্ত করে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করা হবে। 

এদিকে এ ঘটনায় ঘটনাস্থলসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। 
প্রজন্মনিউজ২৪/কে.জামান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ