চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার তদন্তের দাবি বিশিষ্টজনদের

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ০৭:৩৬:০৯ || পরিবর্তিত: ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ০৭:৩৬:০৯

চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার তদন্তের দাবি বিশিষ্টজনদের

নোয়াখালী প্রতিনিধি: শারদীয় দুর্গোৎসবে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন বিশিষ্ট্যজনরা। একই সঙ্গে মৌলবাদ হামলাকারীদের দ্রুত চিহিৃত করে তাদের প্রতিহত করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান ও জনানো হয়।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে চৌমুহনী ব্যাংক রোডে শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দির মিলনায়তনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যেগে আয়োজিত সম্প্রীতি রক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তরা এ সব কথা বলেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি বিমলেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে ও আবুল ফারাহ পলাশের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি নোয়াখালীর কৃতি সন্তান গোলাম কুদ্দুছ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন, নাট্যকার নাসির উদ্দিন ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল হক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফৌজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মালেকা বানু, আহমেদ গিয়াস, মানজার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহা, এ্যাডভোকেট রতন লাল সাহা, মিথুন ভট্ট, এ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশর।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন সব ধর্মের লোকদের স্বাধীন ভাবে এদেশে বসবাস করার জন্য। চৌমুহনীতে যে বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে তা দেখার জন্য আমরা এদেশ স্বাধীন করিনি। চৌমুহনীতে দাঙ্গায় দুই জন নিহত ও ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা অগ্নি সংযোগের পর অনেক হিন্দু পরিবার এদেশে না থাকার কথা জানিয়েছেন। একথা শুনার জন্য তো বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেন নি। এ সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক উন্নয়ন হয়নি। হামলার ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখে তাদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচার করতে হবে। এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তারা।
 
প্রজন্ম/এসকে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ