বগুড়ায় জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত মেম্বার প্রার্থী

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:১২:৩৩

বগুড়ায় জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত মেম্বার প্রার্থী

সাবিক ওমর সবুজ:-বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস জীবিত হয়েও ভোটার তালিকায় তিনি এখন ‘মৃত’। আসছে ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে তিনি মেম্বার পদে নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের মানিকদিপা বিন্নাচাপড় গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি অত্র ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। এঘটনা জানাজানি হলে ইউনিয়ন ব্যাপী হচ্ছে নানা আলোচনা সমালোচনা। 

আড়িয়া ইউনিয়নের বেশ আলোচিত এই ২নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে সদস্য পদে অংশ নিতে বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান, আব্দুল বাসেদ রঞ্জু ও ভোটার তালিকায় মৃত সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আব্দুল মোতালেব এর নাম ভোটার তালিকা মৃত থাকায় মেম্বার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে কিছুটা অধরাই।  

গত নির্বাচনে একই গ্রামের বতর্মান ইউপি সদস্য আব্দুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস মাত্র ১৪৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এ বার পুনরায় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন সাবেক এই ইউপি সদস্য।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, যদি কোনো ব্যক্তি মারা যান তাহলে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়দের পক্ষ থেকে নির্বাচন কার্যালয়কে জানাতে হয়। পরে নির্বাচন কার্যালয় থেকে একজন মাঠকর্মী সেটির তদন্ত করে দেখেন।

এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার যাচাই-বাছাই প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মৃত্যুর কারণে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে হলে ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদও লাগে।

ভোটার তালিকায় মৃত সাবেক ইউপি সদস্যর ছেলে রাসেল আহমেদ বলেন, আমার বাবার নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কোভিড-১৯ টিকা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও ভোটার তালিকায় নম্বরের খোঁজ করতে গিয়ে নাম মৃত তথ্য পাই। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।

ভোটার তালিকা অনুসারে মৃত সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিস আমাকে জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়েছেন। আমি নাকি মৃত। এটাও সম্ভব! তারপরও আমি নির্বাচন অফিসে সংশোধনীর জন্য অবেদন করেছি। গত বছর সামান্য ভোটের কারণে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছি। এবারও নির্বাচনের জন্য আগে থেকেই মাঠ পর্যায়ে সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে মৃত বানিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এক প্রতিপক্ষ এমন কাজ করতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল হোসেন বলেন, আব্দুল মোতালেব ভোটার তালিকায় মৃত দেখায় নির্বাচন অফিসের মেইন সার্ভারে সংশোধন করার জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে।
প্রজন্মনিউজ২৪/কে.জামান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ