ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের নীতি আ.লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে: ফখরুল

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০৩:৩৯:২৮ || পরিবর্তিত: ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০৩:৩৯:২৮

ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের নীতি আ.লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে: ফখরুল

প্রজন্মনিউজ ডেস্ক: কুমিল্লার পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় শুরু থেকেই সরকার বিএনপিকে জড়ানোর অচেষ্টায় লিপ্ত’ এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘শুধু এখন নয়, যখনই দেশে কোনো ঘটনা ঘটে তখনই সেখানে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা করে সরকার। অথচ কাজগুলো করে আওয়ামী লীগ।’

দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের নীতি আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে বলেন তিনি।

রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এমন অভিযোগ করেন। তার দাবি, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনা সরকারের এজেন্টরাই ঘটিয়েছে।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, নোয়াখালীর পূজামণ্ডপগুলোতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক। পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে নিরাপত্তা বিধান না করে হামলা-ভাঙচুর-সংঘাত ও সংঘর্ষ উস্কে দিয়ে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে উঠেছে সরকার।

কুমিল্লার ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের নামে একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার এখন ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’ করছে। কণ্ঠ কাটপিস করে সুপার এডিটিং-এর মাধ্যমে বানোয়াট ফোনালাপ প্রচার করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের মদদে একটি অসাধু মহল প্রতিনিয়ত এ হীন কাজগুলো করে যাচ্ছে। কণ্ঠ কাটপিস ও  সুপার এডিটিং করার জন্য বেতনভুক্ত প্রায় এক লাখ লোককে ভাড়া করেছে আওয়ামী লীগ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটুক্তি করায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করা হয়েছে— বৈশাখী টেলিভিশনের রিপোর্টার প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলেন, এই প্রযুক্তির যুগে কণ্ঠ ভেঙে-ভেঙে নানা কিছু করা যায়। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কথায় এটা প্রমাণিত যে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে যে ফোনালাপ ভাইরাল করা হয় সেটা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যায় ভুগছে। সরকারও নানা রোগে আক্রান্ত। এসব ঘটনা চাপা দেওয়া জন্য মন্দির ভাঙচুর-লুটপাট, পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার মতো মানবতাবিরোধী কাজগুলো করছে সরকার। সরকারের অনেক নাটকের মধ্যে এটা আরেকটা নাটক।

পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ও মন্দির ভাঙচুরে সরকারের মদদ আছে— দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, পুরোহিতরা জানে মন্দিরে কোরআন রাখলে পূজা হয় না। এক বাক্যে বলা যেতেই পারে, এ কাজ সরকারের।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমার নামে ফাঁস হওয়া ভুয়া ফোনালাপের ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি করার জন্য আইনজীবী যায়। কিন্তু থানা পুলিশ তা নেয়নি।

নোয়াখালীর চৌমুহনী মন্দিরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে যেই অপরাধী হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতায় রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

প্রজন্মনিউজ২৪/ইমরান হোসাইন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ