কোন কোন সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ ও মাকরূহ

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ১২:২০:৫০

কোন কোন সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ ও মাকরূহ

এমন কিছু সময় আছে, যেসব সময় ফরজ, ওয়াজিব ও নফল কোনো ধরনের নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। এমনকি কাজা নামাজও পড়া যাবে না।

সূর্যোদয়ের সময়, যতক্ষণ তা পুরোপুরি উদয় হয়ে না যায়। (বুখারি, হাদিস : ১৫২৩)

সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময়। যতক্ষণ পর্যন্ত তা ঢলে না পড়ে। (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৩)

সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে ওই দিনের আসর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত আদায় করতে পারবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৫)

নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে জানাজা এলে তা আদায় করতে পারবে। কিন্তু মাকরুহ হবে। সেরূপ কোনো ব্যক্তি এ সময় আয়াতে সিজদা পাঠ করলে সিজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করতে পারবে। কিন্তু মাকরুহ হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫৬, সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৩১, মুসলিম ১৩৭৩, সুরা : মুহাম্মদ : ৩৩)

যে সময় নফল নামাজ মাকরুহ

ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত থেকে অতিরিক্ত পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৮৫)

ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত। (বুখারি, হাদিস : ৫৫১)

আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস : ৫৫১)

ইকামতের সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬০)

ঈদের নামাজের আগে ঈদগাহে কোনো নামাজ পড়া মাকরুহ।

ঈদের নামাজের পরে ঘরেও কোনো নামাজ নেই, ঈদগাহেও নেই। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১২৮৩)

সময় যদি এত কম হয় যে সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাজের সময় শেষ হয়ে যাবে, এমন সময় নামাজ পড়া মাকরুহ।

খুব ক্ষুধা ও খানার প্রতি তীব্র চাহিদা হলে সে সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। এর ফলে খানার সঙ্গেই মন লেগে থাকবে, নামাজের সঙ্গে নয়। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৯)

প্রস্রাব-পায়খানার বেগ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৯)

প্রজন্মনিউজ২৪/আল-নোমান
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ