দেশে বন্যাকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গবেষণায় জার্মানির সহযোগিতা

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর, ২০২১ ০৭:০৩:৩৯

দেশে বন্যাকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গবেষণায় জার্মানির সহযোগিতা
বাংলাদেশে বন্যাকালীন সময়ে বিচ্ছিন্ন জনসাধারণকে মারাত্নক বন্যা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা কিভাবে প্রদান করা যায় সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি গবেষণামূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করছে জার্মানি। জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্সের অনুদানে এ প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রম চলবে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জার্মানির অন্যান্য সরকারি গবেষক এবং এনজিও অংশীদারদের সাথে নিয়ে “ FLUTNETZ" (যা ইংরেজীতে বলা হচ্ছে ‘FLOOD NET) নামক আন্তঃবিষয়ক ও আন্তবিভাগীয় একটি প্রকল্পে পারস্পরিক সহযোগীতা করবে। গবেষকরা প্রথমে দু’টি উপজেলায় গবেষণার জন্য কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তবে উপজেলাগুলো নির্বাচন করার ক্ষেত্রে যেসব এলাকা সবচেয়ে বেশী বন্যা কবলিত ও বন্যার সময় মানুষ স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরী সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী সমস্যার সম্মুখীন হয় ওইসব উপজেলাগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে । গবেষণা প্রকল্পে গবেষকরা স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী সাধারণ মানুষদের জীবন রক্ষাকারী পদ্ধতির বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দিবেন। এছাড়াও চালক বিহীন ড্রোন বিমান ব্যবহার করার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে যাতে করে দ্রুত এবং সাশ্রয়ীভাবে জরুরী ঔষধ সরবরাহ করা যায়। জরুরী চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরো জটিল অবস্থা সৃষ্টি করে জানিয়ে হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রোবেদ আমিন বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ছাড়া, প্রাকৃতিক দু্র্যোগকালীন সৃষ্ট সংক্রামক রোগসমূহ কার্যকরভাবে মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। তবে এক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভয়াবহ বন্যার সময় মৃত্যুর প্রথম এবং দ্বিতীয় মূল কারণ হচ্ছে পানিতে ডুবে যাওয়া এবং সর্পদংশন। তাই গবেষণায় জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সবচেয়ে কার্যকর এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত উদ্ভাবন সমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে।’’ এছাড়া টক্সিকোলজী সোসাইটি অব বাংলাদেশ( টিএসবি)-এর সভপতি ও “ FLUTNETZ"- এর জাতীয় সমন্বয়কারী অধ্যাপক এম ফয়েজ বলেন, ‘বিষক্রিয়ার থেকে বাচাঁনোর জন্য বাংলাদেশে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই , তাই এই প্রকল্প গবেষণার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে একটি ‘বিষক্রিয়া প্রতিরোধী জাতীয় তথ্যকেন্দ্র’ তৈরি করার লক্ষ্য অর্জনের একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি করবে।’ এ প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রম ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ