আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাই

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০৬:২৬:০২

আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাই

নাহিদ, স্টাফ রিপোর্টার: আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে ফের ফাইনালে উঠে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। রুতুরাজ গায়কোয়াডের দারুন ব্যাটিং ও অধিনায়ক এমএস ধোনির দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় চেন্নাই।

দারুন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৩ রান। টম কারেনের প্রথম বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন মইন আলি। ১৬ রান করে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় বলে ধোনি এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে চার মারেন। চার বলে দরকার ছিল নয় রান। তৃতীয় বলেও চার মারেন চেন্নাই অধিনায়ক। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে উইকেটকিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল বাউন্ডারি টপকে যায়। এর পরের বল ওয়াইড করেন টম কারেন। এতে শেষ তিন বলে মাত্র চার রান দরকার ছিল। পরের বলেই চার মেরে খেলা শেষ করেন ধোনি।

খেলার শুরুতে টস করতে এসে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে কোয়ালিফায়ারে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিরুদ্ধে টস করতে এসে সে কথা স্বীকারও করে নিলেন। তবে যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন একবারের জন্যও মনে হয়নি বড় মঞ্চে ঘাবড়ে গিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক। বরং একজন নেতার ঠিক যা করা উচিত সেটাই করে গিয়েছেন। পরপর উইকেট হারিয়ে তার দল যখন চাপে তখন ঠাণ্ডা মাথায় খেলেছেন অধিনায়ক। শেষ অবধি ক্রিজে থেকে দলের রান পৌঁছে দিয়েছেন ১৭২ এ।

এদিন ইনিংসের শুরুতে আক্রমনাত্বক ব্যাটিং করেন ওপেনার পৃথ্বী শ্ব। অপর ওপেনার শিখর ধাওয়ান ৭ রান করে আউট হওয়ার পর একই মেজাজে খেলতে থাকেন পৃথ্বী। ৩৪ বলে ৬০ রান করে আউট হন দিল্লির ওপেনার। এরপরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থ হন শ্রেয়াস আইয়ার। ১ রান করেই আউট হন দিল্লির সাবেক অধিনায়ক। ১০ রান করে ফেরেন অক্ষর প্যাটেল। একটা সময় ৮০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। কিন্তু সামাল দেন ঋষভ পান্থ ও শিমরন হেটমায়ার। দুজনে মিলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ৩৭ রান করে হেটমায়ার আউট হলেও পন্থ অপরাজিত থাকেন ৫১ রান করে।

বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। রবীন্দ্র জাদেজা, মইন আলি ও ডোয়েন ব্রাভো পান একটি করে উইকেট।

বিপরীতে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফাফ দুপ্লেসির উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় চেন্নাই। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ ব্যাট করেন রবিন উথাপ্পা ও রুতুরাজ গায়কোয়াড। এ জুটি ভাঙেন টম কারেন। মিড উইকেটে ছয় মারতে গিয়ে শ্রেয়াসের হাতে ক্যাচ দেন উথাপ্পা। দারুণভাবে ক্যাচ তুলে নিয়ে বাউন্ডারি টপকে যাওয়ার আগে শূন্যে বল ছুড়ে দেন দিল্লির সাবেক অধিনায়ক। সামলে নিয়ে মাঠে ফিরে ক্যাচ নিশ্চিত করেন তিনি।

উথাপ্পা ফেরার পর দ্রুত আউট হন শার্দূল ঠাকুর। একইভাবে ছয় মারতে গিয়ে শ্রেয়াসের হাতে ক্যাচ দেন তিনিও। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তিনি। পরের ওভারে রান আউট হন অম্বাতি রায়ডুও। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে শ্রেয়াসের ছোড়া বলে রানআউটের ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর ১ রান করে ফেরেন আম্বাতি রাইডু। শ্রেয়াসের দারুণ ফিল্ডিংয়ের উপর ভর করে তিন উইকেট পায় দিল্লি। তবে উল্টো দিকে ভালো ব্যাট করতে থাকেন রুতুরাজ। ৫০ বলে ৭০ রান করে আউট হন তিনি। সর্বশেষ ধোনির দারুন ফিনিশিংয়ে দল পৌঁছে যায় ফাইনালে। তবে দিল্লির ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ রয়েছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/এন হাসান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ