কোটালীপাড়ায় করোনায় আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৩:৩৬:৩৬ || পরিবর্তিত: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৩:৩৬:৩৬

কোটালীপাড়ায় করোনায় আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী

 কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ১২সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজের পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আনন্দ মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

এরই মাঝে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত এই শিক্ষার্থী উপজেলার ৪নং ফেরধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ওই ছাত্রী আক্রান্ত হওয়ার পরে তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান ১৪দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।  আজ মঙ্গলবার বিদ্যালয়টিতে গিয়ে ওই ছাত্রী আক্রান্ত হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকগণ আতংকিত নয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সোহেলী পারভীন পান্না।

তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিন ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসেছিল। সেই দিন তার মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ লক্ষ করা যায়নি। এরপর সে বাড়িতে বসে জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেওয়া হলে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই ছাত্রীর মাও করোনায় আক্রান্ত। আমার ধারণা সে পরিবার থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের আরও ৩শিক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত। তারা বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে আমাদের এই ৪শিক্ষার্থীই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। 

এছাড়া সহকারী শিক্ষিকা অর্পিতা মন্ডল বলেন, প্রতিদিন আমরা শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করাই। করোনার বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে কোন  আতংক নেই। আমাদের বিদ্যালয়ের উপস্থিতির হার সন্তোষজনক। 

বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ইতি মধু ও মেঘা দাস বলেন, অনেক দিন পরে বিদ্যালয় খুলেছে। আমরা বিদ্যালয়ে আসতে পেরে আনন্দিত। প্রতিদিন আমরা মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে আসি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষকগণ আমাদের পাঠদান করান। করোনা নিয়ে আমাদের কোন আতংক নেই। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আসমা বেগম ও সাইদুর সিকদার বলেন, আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে কোন প্রকার কুন্ঠাবোধ করছি না। দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাইনা বিদ্যালয় আর বন্ধ থাকুক। 

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন কুমার ঢালী বলেন, তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে আমরা ওই বিদ্যালয়টির তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান ১৪দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছি। সার্বক্ষণিক ভাবে আমরা ওই ছাত্রীর খোঁজখবর নিচ্ছি। এছাড়া ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। আমরা তাকে করোনার চিকিৎসা দিয়েছি। বর্তমানে সে হোম আইসোলেশনে আছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন পাঠদান চলছে। আমরা এ সকল বিদ্যালয় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি। প্রতিটি বিদ্যালয়েই প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। কোন শিক্ষার্থীর মাঝে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ আসলে আমরা ওই শ্রেণি বা বিদ্যালয় বন্ধ করে দিবো।

প্রজন্মনিউজ২৪/এন হাসান

 

এ সম্পর্কিত খবর

দেশটা এখন আওয়ামী মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল

ভোট দিতে গিয়ে শুনলেন তিনি মারা গেছেন, নিরাশ হয়েই ফিরলেন বৃদ্ধা

ইরানে হামলার পর নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বলল অস্ট্রেলিয়া

খিলগাঁওয়ে পরিত্যক্ত ঘরে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ, পুলিশের ধারণা হত্যা

ছাত্রলীগ নেতার পর একই নারীর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল

কণ্ঠের সুরক্ষায় ঝাল-তৈলাক্ত খাবার পরিহারের পরামর্শ

৩টি ড্রোন ধ্বংস করল ইরান, নিরাপদে আছে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা

ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, এলাকাবাসীর পিটুনিতে নিহত ২

ঈদের আমেজ কাটেনি বাজারে, ফাঁকা ঢাকাতেও দাপট গরু-খাসির

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ