আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন বাংলাদেশের ‘চেনা প্রতিপক্ষ’ টেলর

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৫৪:২৮

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন বাংলাদেশের ‘চেনা প্রতিপক্ষ’ টেলর

প্রজন্মনিউজ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ওয়ানডের পর জিম্বাবুয়ের হয়ে আর দেখা যাবে না ৩৫ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যানকে। 

২০০৪ সালে বুলাওয়েতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ টেলরের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত টেলর খেলেছেন ২০৪টি ওয়ানডে, ৩৫.৭০ গড়ে করেছেন ৬৬৭৭ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত এ সংস্করণে তাঁর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের (৬৭৮৬)। শেষ ম্যাচে ফ্লাওয়ারকে ছাড়িয়ে যেতে টেলরের প্রয়োজন তাই আরও ১১০ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়ানডেতে টেলরের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন চারজন। ওয়ানডেতে ১১টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৩৯টি ফিফটি আছে তাঁর। ওয়ানডেতেই একবার মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ বলে ছয় মেরে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন তিনি।


ক্যারিয়ারের সময় বেশ লম্বা হলেও টেলর টেস্ট খেলেছেন মাত্র ৩৪টি। অবশ্য তাঁর ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় টেস্ট থেকে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে ছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষেই টেলর খেলেছেন ১২টি টেস্ট। এ সংস্করণে ক্যারিয়ার গড় ৩৬.২৫ হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে সেটা ৬১.৯৫! টেস্টে ৬ সেঞ্চুরির ৫টিই এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।

এছাড়া টেলর টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৪৫টি। ১১৮.২২ স্ট্রাইক রেট ও ২৩.৯৪ গড়ে ৯৩৪ রান আছে তাঁর। সব মিলিয়ে টেলরের আন্তর্জাতিক রান (৯৯৩১) জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ। তাঁর ওপরে শুধু ফ্লাওয়ার ভাতৃদ্বয়- অ্যান্ডি (১১৫৮০) ও গ্রান্ট (১০০২৮)।

২০১৫ বিশ্বকাপের পর কলপ্যাক চুক্তিতে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন টেলর। কার্যত সেখানেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ হয়েছিল তাঁর এক দফা। তবে ২০১৭ সালে নটিংহ্যামশায়ারের সঙ্গে চুক্তি শেষের পর আবারও ফিরে আসেন তিনি। সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়েকে ৭১টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

নিজের বিদায়ের ঘোষণায় আলাদা করে কোনো কারণের কথা বলেননি টেলর। লিখেছেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি, আগামীকালের (আজ) ম্যাচটিই আমার প্রিয় দেশের হয়ে শেষ হতে যাচ্ছে। ১৭ বছর ধরে চরম উঠানামার ভেতর দিয়ে গেলেও আমি এটা এক মুহুর্তের জন্যও বদলাতে চাইব না। এটা আমাকে বিনয়ী হতে শিখিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে যে অবস্থানে ছিলাম সেটা যে কতোটা ভাগ্যের, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছে সবসম্য। গর্বের সঙ্গে ব্যাজটা পরতে শিখিয়েছে, মাঠে সবকিছু উজার করে দিতে শিখিয়েছে।’

এ দীর্ঘ সময়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অনেক উত্থান-পতনই দেখেছেন টেলর, ‘২০০৪ সালে প্রথম যখন আসি, লক্ষ্য ছিল দলকে তার চেয়ে ভালো কোনো অবস্থানে রেখে যাওয়া। আশা করি আমি সেটা করেছি।’

বিদায়ের ঘোষণায় নিজের স্ত্রী, পরিবার, দেশ, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বন্ধু, সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন টেলর।


প্রজন্মনিউজ২৪/নজরুল
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ