শিক্ষার্থীদের সাথে স্কুল-কলেজে ফিরেছেন ফেরিওয়ালারাও

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:১১:৩৬

শিক্ষার্থীদের সাথে স্কুল-কলেজে ফিরেছেন ফেরিওয়ালারাও

প্রজন্মনিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর শ্রেণিকক্ষে ফিরেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে স্কুল-কলেজের সামনে ফিরেছেন বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর শিক্ষার্থীদের আগমনে বেজায় খুশি এসব ঝালমুড়ি, ফুসকা, চটপটি ও আইসক্রিম বিক্রেতা।

আজ  (১২ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার স্কুল-কলেজগুলোর সামনে দেখা গেছে চেনা রূপ। সকাল থেকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ভিড় করতে থাকেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, এসটি গ্রেগরিস হাই স্কুল, রোকনপুর বালিকা বিদ্যালয় ও রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কলেজের সামনে বসা ফুসকা বিক্রেতা মো. রোবেল হোসেন বলেন, ‘অনেক দিন পর স্কুলের সামনে দোকান বসাইছি। কাস্টমারও মোটামুটি ভালোই পাইতেছি। স্কুল বন্ধের পর থেকেই ব্যবসা মন্দা যাইতেছিল। তাই গ্রামে চইলা গেছিলাম। স্কুল খোলার খবর শুইনা গত পরশু ঢাকায় আসছি। আশা করতেছি, আগের মতোই বেচাকেনা হবে।’


 সরকারি  সোহরাওয়ার্দী  কলেজের সামনে বসা আইসক্রিম বিক্রেতা মো. শফিক মিয়ারও মুখে হাসি। ‘শফিক মামার কুলফি মালাই’ লেখা ভ্যান নিয়ে এসেছেন তিনি। কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট বড় সবাই আমার আইসক্রিম পছন্দ করে। অনেকদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক পরিচিত মুখ হারাইছি। ইনশাল্লাহ, আবারও জমজমাট হবে।

করোনার প্রকোপে গেল বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলে বেকায়দায় পড়েন এসব ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রেতা শমসের আলী বলেন, ‘আমাগো রুজি-রোজগার যা হয় স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেই। এতদিন অনেক কষ্টে দিন কাটাইছি। আমার এই ঝালমুড়ি ছাত্র-ছাত্রীরা সবেচেয়ে বেশি খায়। বহুদিন পর আজকে ভাল বেচা-বিক্রি হইতাছে।

স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। করোনার প্রকোপ যেন আর না বাড়ে, সরকারও যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর বন্ধ না করে- এমন প্রার্থনাও করছেন শমসের আলী।

বেচাকেনায় বেশ খুশি হলেও ক্ষুদ্র এই ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অনেকের মুখে মাস্কও নেই। আর করোনার এই প্রকোপে খোলা যায় দলবেঁধে শিক্ষার্থীরা ‘অস্বাস্থ্যকর’ এসব খাবার খেলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করছেন সচেতন অভিভাবকরা। ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় সন্তানের জন্য অপেক্ষারত এক অভিভাবক বলেন, ফেরিওয়ালাদের এসব দোকানে বাচ্চারা ভিড় করছে। স্কুলে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, কিন্তু বাইরে এমন ঢিলেঢালা হলে উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে, শিশুরাও সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়।


প্রজন্মনিউজ২৪/ নজরুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ