প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:৪৫:৪০
প্রজন্মনিউজ ডেস্কঃ- সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল, প্রথমবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ওয়েটিং লিস্টেও জায়গা করতে না পারা এম এম মুজাহিদ উদ্দীন জীবনের প্রথম বিসিএসেই সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এখন শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত।
জীবনের নানা পদে অসফলতা আর ব্যর্থতার পরও অধ্যাবসায় দিয়ে ঠিকই নিজের কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি অর্জন করে নিয়েছেন সাতক্ষীরার এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
২০০৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা ফেল করে পরের বছর আবার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস (জিপিএ ৩.৫০) করেন তিনি। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার ব্যর্থ হন।দ্বিতীয়বার সেখানে আবারও পরীক্ষা দিয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান।
আশপাশের মানুষের নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে তাকে বহুবার। কিন্তু নিজের উপর জেদ করে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখেন মুজাহিদ। অনার্স তৃতীয় বর্ষের পর থেকেই বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করেন। বিসিএসকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলেও বিকল্প হিসেবে ব্যাংক, শিক্ষক নিবন্ধন ও অন্যান্য চাকরির নিয়োগ পরীক্ষারও প্রস্তুতি নিয়েছেন। জব সলিউশন বই শেষ করে ফেলেন অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার আগেই।
পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে মুজাহিদ উদ্দীন অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার পর বিসিএসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন বই, বিভিন্ন রেফারেন্স বই যেমন—বিশ্বরাজনীতি, মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি পড়েছেন বলে জানান। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, বাংলাদেশ বিষয়াবলির বিভিন্ন বই, সাময়িকীও কিনে পড়তেন। একটি ইংরেজি পত্রিকাটি সারা সপ্তাহ ধরে পড়তেন।
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার যা যা পড়তাম, শুক্রবার সেগুলো রিভিশন দিতেন। নিজের প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিতেন। বিসিএস প্রিলিমিনারিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত (১০০ নম্বর বরাদ্দ) এই তিন বিষয়ের ওপর বেশি জোর দিয়েছেন বলে জানান।
দুর্বলতা কাটানোর জন্য প্রতিদিনের রুটিনে তিন ঘণ্টার চেয়েও বেশি সময় দিয়েছেন ইংরেজিতে। গ্রামারের অংশের Parts of speech, determiner, Verb, preposition, Idioms and Phrase, Clasue, Synonyms and antonyms, Sentence, Transformation ইত্যাদি টপিকের ওপর বেশি জোর দিয়েছেন তিনি। আর বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির মুনীর চৌধুরীর বোর্ড বই বেশি পড়েছেন। মনে রাখতে প্রাচীন ও মধ্য যুগের রচনা বা সাহিত্য সপ্তাহের শেষ দিন পড়তেন ও লিখতেন। গণিতের ওপর দখলকে কাজে লাগিয়ে প্রিলিতে ১৫ এবং লিখিত পরীক্ষায় ৫০ নম্বর নিশ্চিত করার টার্গেট করেন। অন্যান্য বিষয়গুলোতে নিজের প্রস্তুতি চালিয়ে যান।
এভাবে একে একে নিজেকে গড়ে তুলেছেন বিসিএস পরীক্ষা নামের যুদ্ধের জন্য। অনার্স শেষে প্রথম বিসিএস পরীক্ষা দিয়েই তিনি সফলতা অর্জন করেন। ৩৮তম বিসিএস দিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এখন তিনি শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত আছেন।
প্রজন্মনিউজ২৪/ইমরান হোসাইন
পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা
বিশ্ব বই দিবসে নিজের কক্ষেই লাইব্রেরি গড়ে তুললেন রাবি শিক্ষার্থী আকরাম
বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ভোটার স্মার্ট কার্ড বিতরণ
পদ্মায় গোসলে নেমে একসঙ্গে নিখোঁজ ৩ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান সোহেল
বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির পাকিস্তান সফরের কারণ কী
আফ্রিকায় বাংলাদেশি বক্সারের স্বর্ণজয়
খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করা হয়েছে তা সর্বজনবিদিত