আবারও ষড়যন্ত্রে মেতেছে বিএনপি-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৪:৩১:৫৮ || পরিবর্তিত: ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৪:৩১:৫৮

আবারও ষড়যন্ত্রে মেতেছে বিএনপি-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

প্র্রজন্মনিউজ ডেক্স: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এই বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে নতুন নির্বাচন কমিশন। একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তাই বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিনিয়ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মূলত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির ওপর শুরু থেকেই বিএনপির কোনো আস্থা নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছিল। এরপর যতবারই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে ততবারই তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ যখন দেশে গণতান্ত্রিক কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ভিত্তি সুসংহত তখন গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি অত্যন্ত লজ্জাকর।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির আন্দোলনের অংশ। অর্থাৎ বিএনপি নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন ছিল। যে নির্বাচনে বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলও অংশগ্রহণ করেছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়া ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের কারণে বিএনপি জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জনগণের ওপর দায় চাপায়। নিজেদের পরাজয় আড়াল করার লক্ষ্যে নির্লজ্জভাবে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করে আসছে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে আওয়ামী লীগের হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রজন্মনিউজ২৪/আল-নোমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ