সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক 

প্রকাশিত: ১৩ অগাস্ট, ২০২১ ১২:০০:০২

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক 

হাসান মাহমুদ,জেলা প্রতিনিধি:-গাজীপুর মহানগর গাছা থানাধীন দক্ষিণ খাইলকুর আপন মার্কেট এলাকায় সৎ পিতা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জিএমপির গাছা থানায় নিজে বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গাছা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক মোঃ শাহজাহান গেল চার বছর পূর্বে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন ধর্ষিতার মাকে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি তাদের বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। পারিবারিক কলহের কারণে ২০০০ সালে তার বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে নির্যাতিতা মেয়েটি তার বাবার সাথে থাকতে শুরু করে। মাঝে মাঝে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গাজীপুর বোর্ড বাজারে তার মায়ের ভাড়া বাসায় আসতেন।

চার বছর পূর্বে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার কুশমাইল টেকিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোঃ শাহজাহান এর সাথে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির মা। এরপর থেকে মেয়েটি তার মায়ের কাছে রীতিমতো যাতায়াত শুরু করে।
এক পর্যায়ে সে তার মায়ের সাথে বোর্ড বাজারের দক্ষিন খাইলকুর আপন মার্কেট এলাকার হাজী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করে। তার মা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত থাকার কারণে প্রতিদিন সকালে তাকে অফিসে যেতে হয় এবং রাতে বাসায় ফিরতে হয়।

এদিকে সৎ পিতা রাজমিস্ত্রি কন্টাকটার মোঃ শাহজাহান দিনের বেশিরভাগ সময়ে বাসায় থাকেন।মেয়েটিকে  বাসায় একা পেয়ে  জোর পূর্বক তার কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে এবং নানা রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।এই ঘটনা প্রকাশ করলে তার মাকে তালাক দেয়া সহ তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এভাবে নানা কৌশলে মেয়েটিকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল এই লম্পট। মেয়েটি যাতে বাহিরে এসে এই কথা প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য সে নিয়মিত পাহারা দিত।অবশেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনের সহায়তায় গাছা থানায় এসে জিএমপির গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন এর নিকট সব খুলে বলে।

 তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষককে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের সাথে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে গাছা থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। 
 
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো ইসমাইল হোসেন বলেন, ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। ধর্ষক যাতে শাস্তি পায় এবং ধর্ষিতা যাতে ন্যায় বিচার পায়, সেজন্যে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রজন্মনিউজ২৪/মহমুদ/কে.জামান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ