ভূতুড়ে গ্রাম বগুড়ার পিচুলগাড়ী

প্রকাশিত: ০১ অগাস্ট, ২০২১ ১০:১৮:২১

ভূতুড়ে গ্রাম বগুড়ার পিচুলগাড়ী

সাবিক ওমর সবুজ ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃবগুড়ার শাজাহানপুরের পিচুলগাড়ী গ্রামকে ঘিরে রয়েছে নানা ভুতুড়ে কাহিনী। চারপাশে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতের মাঝে ৯ একর আয়তনের এই গ্রামটি এখন জনমানব শূন্য। প্রায় ৪০ বছর আগে এই গ্রামের বাসিন্দারা বাড়িঘর ফেলে আবাস গড়েছিলেন আশে পাশের অন্য গ্রামে।

চারিদিকে ঘন জঙ্গল থাকায় গ্রামে প্রবেশ পথ আন্দাজ করা বেশ কঠিন। রাস্তা না থাকায় আইল পেরিয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে হয়। দীর্ঘদিন জনবসতি না থাকায় লোকমুখে সৃষ্টি হয়েছে নানা অলীক গল্প। নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি হলেও ভয়ে কেউ গাছের পাতাও ছেড়েন না, এমনকি ফলও ছিড়ে খান না কেউ কেউ।কথিত আছে,এক ব্যক্তি ওই গ্রামের একটি গাছের ডাল বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর রাতে পজ্ঞু হয়েছিলেন, স্বপ্নে দেখান গাছের ডালটি রেখে আসলে লোকটি ভালো হয়ে যাবেন।পরে গাছের ডালটি রেখে আসলে লোকটি ভালো হয়ে যায়।

স্থানীয় প্রবীন বাসিন্দারা বলছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই পিচুলগাড়ীতে চোর ডাকাতের বেশ উপদ্রপ ছিল। আশে পাশে জনবসতি কম থাকায় ৮০র দশকের শুরুতে ডাকাতির প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। ১৯৮১ সালে লুটপাটের সময় ডাকাতরা মফিজ উদ্দিন মন্ডল নামে গ্রামের এক ধনাঢ্য গৃহস্থকে খুন করেন। এরপর থেকেই প্রাণের ভয়ে বাসিন্দারা গ্রাম ছাড়েন । তবে গ্রামে বসতি না থাকলেও প্রতি শুক্রবার বাপ- দাদাদের পুরনো মসজিদে জমায়েত হন তাদের প্রবীন বংশধররা।

দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত এই স্থানটি এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বাসিন্দাদের একজন মুরগির খামার গড়ে অস্থায়ীভাবে বসতি গড়ার চেষ্টা করছেন।যদিও এখন আর ডাকাতের ভয় নেই। কিন্তু রাস্তা ও বিদ্যুৎ না থাকায় স্থায়ীভাবে আর কেউ বসতি গড়তে পারছেন না। তারা বলছেন যদি সড়কে ও বিদ্যুৎতের  ব্যবস্থা হয় তাহলে জনশূন্য এই এলাকাটিতে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার ঘটবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/ সাবিক ওমর সবুজ/আ. খালেক

 

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ