বাগেরহাটে করোনা টীকা কেন্দ্রদানে ভীড় সামলাতে পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই, ২০২১ ১০:৫১:০৬

বাগেরহাটে করোনা টীকা কেন্দ্রদানে ভীড় সামলাতে পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন

বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রচন্ড ভীড়ে গাদাগাদি অবস্থার সৃষ্টি হলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় মঙ্গলবার শেষপর্যন্ত সেনা বাহিনী ও পুলিশের সাহায্য নিতে হয়েছে।

নারী-পুরুষ একই সাথে প্রচন্ড ভীড়ে গাদাগাদির মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের। ভীড় সামলাতে হিমশিম খান রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। তখন ভীড় সামলাতে গেলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় হাসপাতালে। একপর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষার পুলিশ ও লকডাউনে কর্তব্যরত সেনা বাহিনী সদস্যরা সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ড. কে.এম হুমায়ুন কবির জানান, এ কেন্দ্রে প্রতিদিন ৪০০ (চারশত) মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। আমরা চারশ মানুষকেই ম্যাসেজ দিয়েছি। কিন্তু ম্যাসেজ না পেয়েও অনেকে টিকা কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসেন। এদিন সাস্থ সচেতনের দিকে না তাকিয়ে প্রায় এক হাজার মানুষ জড়ো হলে স্বাস্থ্যবিধি লংঘিত হয়।

একপর্যায়ে সেচ্ছাসেবকেরা হিমশিম অবস্থার মধ্যে পড়েন। তখন সামান্য উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ ডাকা হয়। এরপর সদর উজেলা নির্বাহী অফিসার আসেন। তখন তার সাথে লকডাউনে কর্তব্যরত সেনা সদস্যরাও এখানে উপস্থিত হন।

তিনি আরও বলেন, ম্যাসেজ না পেলে কাউকে আসতে আমরা অনুৎসাহিত করছি। মাইকিং করে তাদেরকে না আসার জন্য বলে দেওয়া হচ্ছে। তবুও উৎকন্ঠিত অনেকে আসায় ভীড় হচ্ছে। যারা রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তারা সবাই টিকা পাবেন। তাদের অহেতুক উৎকন্ঠিত হবার কিছুই নেই। আমাদের পর্যাপ্ত টিকার মজুত রয়েছে। এই টিকা দেওয়া শেষ হলে, আমাদেরকে আরও টিকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।

সূত্র মতে, দুই দফায় সিনোফার্মের পাওয়া ২৮ হাজার ৪০০ টিকা রয়েছে বাগেরহাটে। সরকারি নির্দেষনা অনুযায়ী গত ৮ তারিখ থেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে পাঁচটি বুথে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, গতকাল মঙ্গলবার (১৩-জুলাই) সকাল থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে।

বাগেরহাট রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব প্রধান শরিফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, গত ৮ জুলাই থেকেই আমাদের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেসবক এখানে কাজ করছে। কিন্তু টিকা নিতে আসা লোকের চাপ এত বেশি যে আমরা তাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। টিকা গ্রহিতারা বসে অপেক্ষা করবে এমন কোন জায়গা ছিল না।

আমরা বসার জন্য একটি প্যান্ডেলও করেছি। লোক এত বেশি যে সবাইকে বসতেও দেওয়া যাচ্ছে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষা করে সকলকে সহায়তা করতে।

প্রজন্মনিউজ২৪/আ.আমিন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ