রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব পাশ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই, ২০২১ ১০:৩৩:০৮

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব পাশ

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের আহ্বানে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে।

সোমবার (১২ জুলাই) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত এই প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি পেশ করা হয়। প্রস্তাব পাস হওয়ায় নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একইসাথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত পুনর্বাসনের মাধ্যমে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করা যাবে। 
জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পাস হয়। বাংলাদেশের উদ্যোগে জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পাস হয়। ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সব রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি উপস্থাপিত হয়েছিল।

বাংলাদেশ মিশন জানায়, মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শুরু থেকেই প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রবল মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। অবশেষে, নিবিড় ও সুদীর্ঘ আপস-আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলো। প্রস্তাবটিতে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এছাড়া, তাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত এ গুরুভার বহনে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

 বলা হয়, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি পেশ করা হয়। প্রস্তাব পাস হওয়ায় নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একইসাথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত পুনর্বাসনের মাধ্যমে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করা যাবে।গৃহীত এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনসহ সকল প্রকার নিপীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ হতাহতের ঘটনার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী দমনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে ধরপাকড়, হত্যা, যৌন নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এই ঘটনায় প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের ২৪টি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় মিয়ানমারের সেনারা অভিযান পরিচালনা করলে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।

প্রজন্মনিউজ২৪/তারিক আদনান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ